RG Kar Protest: ডাক্তার দিদির দোষীদের শাস্তি চেয়ে পথে বাচ্চারা, দলবল নিয়ে হঠাৎ হাজির TMC নেতা চন্দন, শিক্ষক-অভিভাবদের সঙ্গেও ‘অভ্যবতা’
RG Kar Protest: সেখানে তাঁরই দলের এক সদস্যের এই ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন। যদিও, ক্যামেরার সামনে চন্দনবাবুকে আঙুল উঁচিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেলেও পরে তিনি নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার বলেছেন ছবিতে তিনি নেই।
মোহনপুর (পশ্চিম মেদিনীপুর): আমজনতা, চিকিৎসক,আইনজীবী,যৌন কর্মী থেকে স্কুলের খুদে পড়ুয়া! সকলেই নেমেছেন আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে। সেই রকমই পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি স্কুলের ছোট-ছোট পড়ুয়ারাও দিদির দোষীদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছিলেন। তবে অভিযোগ, আন্দোলন ভাঙতে পেশী শক্তির প্রয়োগ তৃণমূল নেতা কর্মীদের। যেখানে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল নেতা কর্মীদের আন্দোলনে সামিল হতে বলছেন। নিজে নেমেছেন পথে। চাইছেন অভিযুক্তের শাস্তি। সেখানে তাঁরই দলের এক সদস্যের এই ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন। যদিও, ক্যামেরার সামনে চন্দনবাবুকে আঙুল উঁচিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেলেও পরে তিনি নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার বলেছেন ছবিতে তিনি নেই।
উল্লেখ্য, গত ১৭ তারিখ আরজি করের দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মোহনপুরের গোমুন্ডা সুবার্বন হাইস্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকারা। কিছুক্ষণ পথ অবরোধ চলার পরেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা এলাকার চন্দন বেরার নেতৃত্বে স্থানীয় তৃণমূলের লোকজন এসে সেই আন্দোলনে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এক রকম বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ আন্দোলনে থাকা অভিভাবক অভিভাবকদেরকেও সেখান থেকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলেই চলে আসেন মোহনপুর থানার পুলিশ। তবে ক্যামেরার সামনে কার্যত তাঁদের নিশ্চুপ থাকতেই দেখা গেল। অপরদিকে, আঙুল উঁচিয়ে শিক্ষিকদের চন্দনবাবুকে বলতে শোনা গেল, “বাচ্চাগুলোকে নামিয়েছেন? এদের পথে নামেবেন বলে স্কুল খুলেছেন?” যদিও, প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে চন্দনবাবুর সুর নরম করে বললেন, “এই রকম কোনও ঘটনা ঘটেনি।”
যদিও, এই বিষয় নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন পণ্ডিত মুখ খুলতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, সেদিন একটি ঘটনা ঘটেছিল তবে সবকিছু এখন স্বাভাবিক। তিনি বলেন, “এই নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই আমাদের। বহিরাগত কেউ ঢুকে পড়ে। তখনই সমস্যা হয়। সব ঠিকঠাক আছে। এই মহুর্তে কোনও সমস্যা নেই। তখন সমস্যা হয়েছিল।”
তবে প্রধান শিক্ষক মুখ না বললেও ওয়াকিবহাল মহলের মত, কোথাও একটা এখনো আতঙ্কের ছাপ রয়ে গিয়েছে। তবে কি কারোও ভয়ে তিনি মুখ খুলতে চাইছেন না? কারণ, এই বিষয়ে অন্যান্য শিক্ষকরা ও মুখ খুলতে নারাজ।
একটু দেখে নেওয়া যাক কে এই চন্দন বেরা?
মোহনপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য, গোমুন্ডা এলাকার স্থানীয় নেতা, ও সরকারি কন্ট্রাক্টর। এই চন্দনের পাশাপাশি আরও কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে সেদিনের এই ঘটনায়।