AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC on Baby Koley: রাস্তায় ফেলে বৃদ্ধ বাম নেতাকে মার, বেবিকে বহিষ্কার করল তৃণমূল

Baby Koley: বস্তুত, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বরাবরই বার্তা দিয়ে এসেছেন কোনও রকম অন্যায় তাঁরা বরদাস্ত করবেন না।

TMC on Baby Koley: রাস্তায় ফেলে বৃদ্ধ বাম নেতাকে মার, বেবিকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
বেবি কোলেকে দল থেকে বহিষ্কারImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2025 | 2:14 PM
Share

মেদিনীপুর: তৃণমূল থেকে বহিষ্কার বেবি কোলে। সাংবাদিক বৈঠক করে মেদিনীপুরে জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্যের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সঙ্গে কথা বলেন জয়প্রকাশ। আর তার খানিক বাদেই জয়প্রকাশ মজুমদার জানান যে, রাজ্য সভাপতির নির্দেশে খড়গপুরের ঘটনায় অভিযুক্ত বেবি কোলেকে দল থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বস্তুত, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বরাবরই বার্তা দিয়ে এসেছেন কোনও রকম অন্যায় তাঁরা বরদাস্ত করবেন না। একাধিক মিটিংয়ে তাঁরা এই রকম বার্তা দিয়ে এসেছিলেন।

গত ৩০ জুন খড়গপুরের প্রবীণ বামনেতা অনিল দাসকে মারধরের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সংশ্লিষ্ট সেই ভিডিয়োতে দেখা যায়, বেবি ও আরও তিনজন মহিলা প্রবীণ ওই বামনেতাকে রাস্তায় মারধর করছেন। সেই সময় এই বাম নেতার পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় বিজেপির দিলীপ ঘোষকেও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক হয়। তৃণমূলের তরফে খড়্গপুর থানায় বেবি কোলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা বেবিকে শোকজ নোটিস পাঠান। সেই উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন, আত্মরক্ষার তাগিদেই তিনি সেদিন হাত চালিয়েছেন। সূত্রের খবর তবে তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি দল। এরপরই বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।

জয় প্রকাশ মজুমদার বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে বেবি কোলে আমাদের কর্মী বলে পরিচিত। তিনি এক বয়স্ক বামপন্থী নেতাকে অশালীন এবং অসামাজিক ব্যবহার করে। সেই কারণে তাঁকে শোকজ করা হয়েছিল। আমাদের দলের অনুশাসন খুবই কঠোর। ওঁকে শোকজ করার পর সুব্রত বক্সী নির্দেশ দিয়েছিলেন দল থেকে বহিষ্কার করার জন্য।” সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এটা কোনও ব্যবস্থাই নয়। ১৫ দিন হয়ে গেল বেধড়ক পেটাল রাস্তার উপর ফেলে। তারপর পুলিশ গ্রেফতার করল না। তৃণমূল চুপটি করে বসে থাকল। আসলে খড়গপুরের মানুষের রিয়্যাকশন যেখানে গিয়েছে তৃণমূলের কাছে আর কোনও পথ ছিল না কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলা ছাড়া।”