Dilip Ghosh: ‘পদ্ম’ পাতায় মমতার সরকার! ‘ডিসেম্বরের মধ্যে বিধানসভা ভোট’, বিস্ফোরক দিলীপ
Dilip Ghosh: “সরকারের কোনও ভরসা নেই। সে পদ্ম পাতায় জলের মতো। এই আছে এই নেই।” এ কথা বলে কোন ইঙ্গিত দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ?
দাঁতন: “কোন ভোটের জন্য নয়। ভোট চাইতে আসিনি। ভোট এখন নেই। হয়তো ডিসেম্বরের পরে বিধানসভা ভোটটা আবার হতেও পারে। দিদিমণির যদি বিসর্জন হয়ে যায় তখন ভোট চাইতে আসব।” পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাঁতনে এক জনসভায় এ কথা বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh)। যা নিয়েই রাজ্য-রাজনীতির অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন জল্পনা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মুখেও এর আগে একাধিকবার শোনা গিয়েছে একই সুর। ডিসেম্বরেই সরকার পড়ে যাওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। “ডিসেম্বর মাসে এই সরকার কার্যত আর থাকবে না। ২০২৪ সালে বিধানসভা ও লোকসভার নির্বাচন একসঙ্গে হবে। দেখতে থাকুন।” এ কথা বলে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এবার নতুন করে দিলীপের মুখে কার্যত একই কথা শোনা যাওয়ায় বাড়ছে জল্পনা।
তবে এদিন শুধু ওই কথা বলেই থেমে থাকেননি বঙ্গ বিজেপির দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি আরও বলেন, “সরকারের কোনও ভরসা নেই। সে পদ্ম পাতায় জলের মতো। এই আছে এই নেই। আমরা মধ্যপ্রদেশে হেরে গিয়েছিলাম। কিন্তু, ৬ মাস পরে সরকার আমাদের হয়ে গেল। কর্নাটকে হেরে গিয়েছিলাম, সরকার আমাদের। মহারাষ্ট্রে হেরে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন সরকার আমাদের। তোমাদের তো দেড় বছর হয়ে গিয়েছে। অনেক করেছ। যাও এবার বাড়ি যাও। ঘুম পেয়েছে বাড়ি যাও। আমার মনে হয় নির্বাচন করতে হবে না, সরকার এমনিই হয়ে যাবে।”
দিলীপের এ মন্তব্য নিয়েই জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। এদিন এসএসসি, টেট সহ একাধিক ক্ষেত্রে দূর্নীতির প্রতিবাদ ও বিজেপির নবান্ন অভিযানের সমর্থনে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের সাবড়া এলাকায় একটি মিছিল ও পথসভায় যোগ দেন দিলীপ। সেখান থেকেই রাজ্য সরকারের একাধিক বিষয় নিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তোপ দেগেছেন ইউনিস্কোর স্বীকৃতির পর মমতার মাসভর দুর্গাপুজো উদযাপন নিয়েও।
চাঁচাছোলা ভাষায় কটাক্ষবাণ শানিয়ে দিলীপ বলেন, “তৃণমূল জানে এই স্বীকৃতিটা লুঠে নিতে হবে। তিনি তিথি নক্ষত্র কিছু মানেন না। মহালয়ার আগেই দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন। কোনও মন্ত্র শুদ্ধ বলতে পারেন না। কেবল রাজনীতি করেন। দুর্নীতি চাপা দেওয়ার জন্য ২ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা খরচ করে মিছিল বের করা হচ্ছে। কিন্তু পাপ কোনওদিন চাপা পড়ে না। কিন্তু পাপ কোনও দিন চাপা পড়ে না। সিবিআই-ইডিকে আটকানো যাবে না। নেতাদের বাঁচানো যাবে না। জেলে যেতেই হবে।”