UNESCO: পিংলায় পটচিত্রীদের গ্রাম ঘুরলেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধি, শুনলেন পটকথা
Pingla: ইতিপূর্বেই কলকাতার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। এ বার ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ঘুরে গেলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ও সবং।
সবং: পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় পটচিত্রীদের গ্রাম ঘুরে দেখলেন UNESCO-র এক সদস্যের প্রতিনিধি দল। গ্রামের শিল্পীদের গানের মধ্যে দিয়েই শুনলেন চণ্ডিমঙ্গল থেকে ৯/১১ হামলার কথা। ঘুরে দেখলেন পটচিত্রীদের বাড়ি।
ইতিপূর্বেই কলকাতার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। এ বার ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ঘুরে গেলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ও সবং। শুক্রবার দুপুরে প্রথমে পিংলার নয়াগ্রামে এসে পৌঁছন UNESCO-র প্রতিনিধি টিম কার্টিস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক-সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। শুক্রবার ‘চিত্রতরু’ ভবনে এসে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে পটচিত্র সম্বন্ধে সম্যক ধারণা নেন ইউনেস্কোর কনভেনশন ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ কমিটির সম্পাদক টিম কার্টিস। এর পর শামিয়ানায় বসে পিংলার পটচিত্রীদের গলায় শোনেন চণ্ডীমঙ্গল থেকে বৃক্ষরোপণ নানা চিত্রকথা। নিজের মোবাইলে ক্যামেরাবন্দিও করেন সমস্ত মুহূর্ত। এর পর তিনি কথা বলেন পিংলার পটচিত্রীদের সাথে। সেখানে দোভাষীর কাজ করেন খোদ জেলাশাসক আয়েশা রানি। পিংলার পটচিত্র যে তাঁর মনে ধরেছে তা কার্যত অকপটে স্বীকার করে নেন ইউনেস্কোর এই সদস্য। পটচিত্র নিয়ে ইউনেস্কো যে কাজ করতে আগ্রহী তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। এর পর জেলাশাসককে সঙ্গে নিয়ে একের পর এক শিল্পীর বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন তিনি। ঘুরে দেখেন বাহাদুর চিত্রকরের সংগ্রহশালা। সবশেষে পিংলায় জেলাশাসকের সঙ্গে বৃক্ষরোপণ করেন ইউনেস্কোর এই সদস্য।
এর পরই তিনি রওনা দেন সবংয়ের সারতা এলাকায়। মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া, জেলাশাসক-সহ জেলা প্রশাসনের অধিকারীকদের সাথে নিয়ে ঘুরে দেখেন মাদুর হাট। সব মিলিয়ে জেলার দুই শিল্প দেখে ইউনেসকোর সদস্য যথেষ্টই খুশি বলে দাবি জেলা প্রশাসনের। তা নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে জেলার শিল্পীরা।
এ নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেছেন, “ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা ঘুরে দেখলেন। তাঁদের খুব ভাল লেগেছে বলে জানিয়েছেন। ডেস্টিনেশন ট্যুরিজম করার জন্য তিনি বলেছেন।” পটচিত্রীদের জন্য আরও জমি দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মানস ভুঁইয়া বলেছেন, “পটচিত্রীদের অসামান্য প্রতিভা। ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। আমরা চাই এটি আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠুক।“