Green Road: কালো নয়, এক্কেবারে সবুজ! কলকাতা একটু দূরেই বাংলার বুকেই রয়েছে এই মায়াবী রাস্তা
Green Road: পঞ্চায়েতের লোকজন বলছেন, পিচের রাস্তা তৈরির পর উপরে দেওয়া হয়েছে প্লাস্টিকের একটি প্রলেপ। তারই বাহার বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছে। একদিকে এই প্রলেপ যেমন পিচকে বৃষ্টির জল থেকে রক্ষা করছে তেমনই তার রঙ রাস্তার শোভা বাড়াচ্ছে।
আউশগ্রাম: জঙ্গল নাকি মায়া কানন! একঝলক দেখলে বোঝা দায়। সবুজে ঘেরা ঘন জঙ্গলের ভিতরে চলে গিয়েছে সবুজ রাস্তা! শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে কিন্তু হয়েছে তেমনটাই। পিচ বা মোড়াম নয়, জঙ্গলের বুক চিরে চলে গিয়েছে একেবারে সবুজ রাস্তা। তার উপর দিয়েই বন্যপ্রাণীদের পাশাপাশি যাতায়াত মানুষেরও। দেখে মনে হবে ঠিক যেন ঘাসের কার্পেট বিছানো রয়েছে রাস্তার উপরে। কোথায় দেখা যাচ্ছে এই ছবি?
দেখতে হলে যেতে হবে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে! এখানেই একেবারে সবুজ রঙের রাস্তা তৈরি করে চমক লাগিয়ে দিয়েছে আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের অমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। টাকা এসেছে পঞ্চম রাজ্য অর্থ কমিশন থেকে। সেই বরাদ্দেই কাজ। অমরপুর পঞ্চায়েত এলাকার কালিকাপুর ফুটবল মাঠ থেকে মুচিপাড়া এস টি পাড়া পর্যন্ত গ্রিন সিল-সহ বিটুমিন রাস্তা তৈরি হয়ে গিয়েছে। তা নিয়েই এখন জোর চর্চা। পঞ্চয়েতের হিসাব বলছে গোটা কাজ করতে মোট খরচ হয়েছে ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা।
কীভাবে তৈরি হয়েছে এই রাস্তা?
পঞ্চায়েতের লোকজন বলছেন, পিচের রাস্তা তৈরির পর উপরে দেওয়া হয়েছে প্লাস্টিকের একটি প্রলেপ। তারই বাহার বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছে। একদিকে এই প্রলেপ যেমন পিচকে বৃষ্টির জল থেকে রক্ষা করছে তেমনই তার রঙ রাস্তার শোভা বাড়াচ্ছে। আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিডিও চিন্ময় দাস বলছেন, ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের বোতল গলিয়ে পিচের সঙ্গে মিশিয়ে এই গ্রিন সিল কোড তৈরি করা হয়েছে। তাই রাস্তার উপর দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার লোকজনও।