Online Fraud: অনলাইনে ইলেকট্রিক বিল? প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে ১ লাখ টাকা খোয়ালেন ইনি
Fraud Case: প্রথমে ৭৮ হাজার ৬৯৮ টাকা এবং তারপর ২৭ হাজার ৪০০ টাকা নিমেষে গোলাম শেখের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায়। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরেই মাথায় হাত ওই ব্যক্তির। থানায় ছুটেছেন তিনি নালিশ জানাতে।
পূর্বস্থলী: অনলাইনে প্রতারণার নয়া ফাঁদ। প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় ১ লাখ টাকারও বেশি খোয়ালেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর এক বাসিন্দা। পূর্বস্থলীর চুপি কাস্টশালী এলাকার বাসিন্দা গোলাম হোসেন শেখ। অনলাইনে ইলেকট্রিকের বিল দিতে গিয়ে প্রতারকদের খপ্পরে পড়েন তিনি। প্রথমে ৭৮ হাজার ৬৯৮ টাকা এবং তারপর ২৭ হাজার ৪০০ টাকা নিমেষে গোলাম শেখের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায়। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরেই মাথায় হাত ওই ব্যক্তির। থানায় ছুটেছেন তিনি নালিশ জানাতে। পূর্বস্থলী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পূর্বস্থলী থানার তরফে তাঁকে সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ২১ নভেম্বর গোলাম শেখের কাছে একটি মেসেজ আসে। মেসেজের মূল বক্তব্য ছিল, গোলাম শেখের ইলেকট্রিকের বিল বকেয়া পড়ে আছে এবং সেদিনই ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসে ফোন না করলে, রাতের মধ্যে তাঁর বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হবে। মেসেজের সঙ্গে একটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছিল। এদিকে গোলাম শেখের সত্য়ি সত্যিই বাড়ির ইলেকট্রিক বিল দেওয়া বাকি ছিল। তাই বিষয়টি নিয়ে প্রথমে কোনও সন্দেহই জাগেনি তাঁর মনে। তাই যে নম্বরটি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে ফোনও করেন তিনি। ফোনের ওপার থেকে পরিচয় দেওয়া হয়, তারা ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসের লোক। তাঁকে অনলাইনে ইলেকট্রিক বিল মিটিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কীভাবে অনলাইনে পেমেন্ট করবেন, সেই উপায়ও বোঝানো হয়। আর সেখানেই গোটা ফন্দি। গোলাম শেখের দাবি, তাঁকে প্লে স্টোর থেকে দু’টি অ্যাপ ইনস্টল করতে বলা হয়। ফোন কথা বলতে বলতেই সেই অ্যাপ ইনস্টল করেন তিনি। এরপরই নিমেষের মধ্যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৮ হাজার ৬৯৮ টাকা কেটে ঢুকে যায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। গোটা বিষয়টি তিনি ফোনে কথাবার্তা চলাকালীনই হয়ে যায়। কীভাবে এই টাকা তিনি ফেরত পাবেন, সেই বিষয়টি জিজ্ঞেস করেন গোলামবাবু। আশ্বস্ত করা হয়, তাঁর টাকা সঠিক জায়গাতেই আছে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এরপর আবার ২৭ হাজার ৪০০ টাকা কেটে নেয় তাঁর ফোন থেকে। দু’দফায় প্রায় ১ লাখেরও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ফোন কেটে দেওয়া হয় ওপার থেকে।