Avik Dey: ফের সন্দীপ ঘনিষ্ঠ অভীকের বড় কীর্তি ফাঁস! নাম জড়াল শিক্ষা দুর্নীতিতেও
Avik Dey: অভিযোগ উঠতেই ফুঁসছেন চিকিৎসকদের একটা বড় অংশও। তীব্র ক্ষোভের সঙ্গেই জুনিয়র ডাক্তার গৌরাঙ্গ প্রামাণিক বলছেন, “যদি কোনও অবৈধ কার্যকলাপ ধরা পড়ে তাহলে এই কাজের সঙ্গে যাঁরা যাঁরা যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।”
পূর্ব বর্ধমান: আরও চাপ বাড়ছে অভীক দে-র উপর। ফাঁস আরও কীর্তি। আরজি করে ‘বিতর্কিত’ উপস্থিতি, থ্রেট কালচার, দাদাগিরি করে ক্যান্টিল দখলের অভিযোগের পর এবার ফের গুরুতর অভিযোগ অভীকের বিরুদ্ধে। তোলপাড় চিকিৎসক মহল। অভিযোগ, উৎশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে মেডিকেল সার্টিফিকেট ইস্যু করেন অভীক এবং তাঁর সতীর্থরা। সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ দায়ের বিজেপির। পদ্ম শিবিরের দাবি, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে দোষীদের সনাক্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুক সিবিআই। মেল মারফত এজেন্সির কাছে অভিযোগ দায়ের বিজেপির নিতে মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের।
মৃত্যুঞ্জয় বলছেন, “উৎশ্রী প্রকল্পে মেডিকেল গ্রাউন্ডে যাঁরা ট্রান্সফার নিয়েছেন তাঁদের কাছ থেকে এই তৃণমূল কংগ্রেসের অভীদ দে-র সিন্ডিকেট চার লক্ষ টাকা নিয়েছে। বাড়ির কাছে স্কুলে ট্রান্সফারের চেষ্টা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পোস্ট না থাকলে পোস্ট তৈরি করে তাঁদের বদলি করা হয়েছে। তিনটি স্কুলের মধ্যে একটি পছন্দ করলে তিন লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে।” এখানেই না থেমে তাঁর আরও বিস্ফোরক দাবি, “২০১৭ সালে নিয়োগ, ২০২০-২১ সালে ট্রান্সফারের ক্ষেত্রেও অনেককেই বলতে শুনেছি ৮ লাখ দিয়ে চাকরি পেয়েছি আর ২ লাখ দিয়ে ট্রান্সফার নিয়েছি।”
অভিযোগ উঠতেই ফুঁসছেন চিকিৎসকদের একটা বড় অংশও। তীব্র ক্ষোভের সঙ্গেই জুনিয়র ডাক্তার গৌরাঙ্গ প্রামাণিক বলছেন, “যদি কোনও অবৈধ কার্যকলাপ ধরা পড়ে তাহলে এই কাজের সঙ্গে যাঁরা যাঁরা যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। দ্রুত সেই অ্যাকশন নেওয়া হোক।” যদিও তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ দাস বলছেন, “ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই, পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। আমাদের তো আলাদা করে বলার কিছু নেই।”