Purba Bardhaman: এবার পিটিয়ে খুনের অভিযোগ বর্ধমানে, ফের উঠে আসছে তৃণমূলের নাম
Purba Bardhaman: মৃতের স্ত্রী রাধা পাশোয়ান বলছেন, “১০ থেকে ১১ দিন আগে গাবু তাঁর স্বামীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তাঁর ঘাড়ে ও পেটে আঘাত লাগে। যদিও তারপর থেকে বাড়িতেই ছিল। ওষুধ এনে খাওয়ানো হচ্ছিল। কিন্তু, ৮ জুলাই অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।”
বর্ধমান: কিছুতেই যেন ঠেকানো যাচ্ছে না গণপিটুনির ঘটনা। লাগাতার আসছে অভিযোগ। চিন্তায় প্রশাসন। এরইমধ্যে এবার বর্ধমানে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল। মৃতের নাম রবি পাশোয়ান(৩৪)। বাড়ি বর্ধমান শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদরঘাটের সুকান্তপল্লীতে। তাঁকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবক শেখ ইনসান ওরফ গাবুর বিরুদ্ধে। যে এলাকায় রবির বাড়ি, সেই একই এলাকায় বাড়ি অভিযুক্ত যুবকেরও। ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। অভিযুক্ত যুবক এক সময় তৃণমূল করতো বলেও দাবি করেছে মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
মৃতের স্ত্রী রাধা পাশোয়ান বলছেন, “১০ থেকে ১১ দিন আগে গাবু তাঁর স্বামীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তাঁর ঘাড়ে ও পেটে আঘাত লাগে। যদিও তারপর থেকে বাড়িতেই ছিল। ওষুধ এনে খাওয়ানো হচ্ছিল। কিন্তু, ৮ জুলাই অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।” কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। এদিন সকালে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন রবি।
ক্ষোভে ফুঁসছেন মৃতের দাদা প্রেমনাথ পাশোয়ান। তিনি বলছেন, “গাবু আগে তৃণমূল করতো। এলাকায় নানা অসামাজিক কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিল। তোলাবাজি করতো। সে কারণেই দল তাঁকে সরিয়ে দেয়। এমনিতে গাবু কাঠের কাজ করে। এলাকায় একটা চায়ের দোকান আছে।” অন্যদিকে রবি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালালেও অনেক সময়ই গাবুর সঙ্গে থাকতো বলে জানাচ্ছেন তাঁর দাদা। কিন্তু, সেই যে ভাইয়ের সঙ্গে এই কাজ করবে তা ভাবতে পারছেন না তিনি। এখন ভাইয়ের সংসার কীভাবে চলবে তা ভেবেই মাথায় হাত তাঁর। এদিকে রবির বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও একটা বাচ্চা মেয়ে রয়েছে।
পাশোয়ান পরিবারের সকলেই চাইছেন গাবুর শাস্তি হোক। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তিনি যদিও বলছেন, “কে কোন রাজনৈতিক দল করেন সেটা কোনও ব্যাপার নয়। আইন অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। অপরাধী শাস্তি পাবেই।” এদিকে ঘটনার পর থেকেই গাবুর কোনও খোঁজ মিলছে না বলে খবর। যদিও থানায় এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে খবর।