Purba Burdwan Murder: ছাদে মাংস রান্না চলছিল, হঠাৎই নীচে গুলির আওয়াজ! ছুটিতে গ্রামের বাড়ি গিয়ে ভয়ঙ্কর পরিণতি হাওড়ার ব্যবসায়ীর

Howrah: ঘটনার দিন সব্যসাচী মণ্ডলের সঙ্গে দরিয়াপুরে ছিলেন তাঁর বন্ধু রাজবীর সিং।

Purba Burdwan Murder: ছাদে মাংস রান্না চলছিল, হঠাৎই নীচে গুলির আওয়াজ! ছুটিতে গ্রামের বাড়ি গিয়ে ভয়ঙ্কর পরিণতি হাওড়ার ব্যবসায়ীর
সব্যসাচী মণ্ডলের বন্ধু রাজবীর সিং। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 23, 2021 | 6:49 AM

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে খুন (Murder) হলেন হাওড়ার এক ব্যবসায়ী। নিহত ওই ব্যবসায়ীর নাম সব্যসাচী মণ্ডল (৪৪)। হাওড়ার শিবপুরে থাকেন সব্যসাচী। তাঁর পলিথিনের ব্যবসা রয়েছে। তবে তাঁর গ্রামের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের রায়নার দরিয়াপুরে। এই ঘটনায় দু’জনকে আটকও করা হয়েছে। একজন সব্যসাচী মণ্ডলের রাঁধুনি, অন্যজন গাড়ির চালক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবারই সব্যসাচী মণ্ডল এক বন্ধুকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি দরিয়াপুরে যান। রাতে বাড়ির ছাদে রান্না হচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময় সব্যসাচী মণ্ডলের গাড়ির চালক তাঁকে ছাদ থেকে নীচে নিয়ে যায় কেউ ডাকছে বলে। বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও সব্যসাচী না থাকায় নীচে যান তাঁর বন্ধু রাজবীর সিং ও রাঁধুনি পার্থ সান্যাল। তাঁরাই সব্যসাচীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।

এরপরই শুরু হয় হইচই। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রাও। ধরাধরি করে সকলে মিলে সব্যসাচীকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় সব্যসাচী মণ্ডলের গাড়ির চালক ও রাঁধুনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

ঘটনার দিন সব্যসাচী মণ্ডলের সঙ্গে দরিয়াপুরে ছিলেন তাঁর বন্ধু রাজবীর সিং। রাজবীরের বক্তব্য, “আমার বন্ধু সব্যসাচী। শুক্রবার সন্ধ্যায় আমরা ছাদে রান্না করছিলাম। চিকেন রান্না হচ্ছিল। হঠাৎই ওর গাড়ির যিনি চালক, তিনি এসে বলেন একজন অফিসার আপনাকে ডাকছে। সব্যসাচী নীচে নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই আওয়াজ শুনতে পাই, রাজবীর রাজবীর করে চিৎকার করছে। শুনেই আমি ছুটে যাই। গিয়ে দেখি গুলিও চালাচ্ছে, ছুরি দিয়েও কোপাচ্ছে। আমি ওদের ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিই। আমি একজনের হাতে থাকা ছুরি চেপে ধরতেই ওরাও পাল্টা টান মারে। আমার হাতও সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত হয়ে যায়। কেটে যায়।” দরিয়াপুরেই থাকেন সব্যসাচীর এই বন্ধু। তাঁর কথায়, হাওড়ার ওই ব্যবসায়ী গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন পুজোর পর।

অন্যদিকে সব্যসাচীর রাঁধুনি পার্থ সান্যালের কথায়, “দেশের বাড়ি থেকে এসেছিলেনে উনি। কথা ছিল একদিন থেকে পরদিন সকালেই চলে যাবেন। সেদিন ঠিক হয় ছাদে রান্না হবে। আমি রান্না করছিলাম ছাদে। আচমকা এরকম ঘটনা ঘটে যায়। আততায়ীদের দলে তিন চারজন ছিল। আমরা তো ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর চিৎকার শুনে নীচে নামি। এসে দেখি ওই অবস্থা!”

এই ঘটনায় কাউকেই সন্দেহ তালিকা থেকে দূরে রাখছে না পুলিশ। সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত চলছে। পরিচিত কারও যোগসাজশেই এই ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিং করতে মৃত ১১ জন, বাকিদের খোঁজে আকাশপথে চলছে তল্লাশি