Purba Bardhaman: হাত-পা বেঁধে গায়ে তেল ঢেলে মহিলাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, ব্যাপক চাঞ্চল্য মঙ্গলকোটে
Purba Bardhaman: ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিও উঠেছে। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলকোট: পকেট মার সন্দেহে দুই মহিলাকে নগ্ন করে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠে ছিল মালদায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর শোরগোল শুরু হয় সোশ্য়াল মিডিয়ায়। এবার এবার এক মহিলাকে গায়ে তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মঙ্গলকোটের কুরুম্বা গ্রামে। বর্তমানে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই মহিলা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, বাড়িতে পাস্টার করা নিয়ে পারিবারিক বিবাদ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। সেই অশান্তির জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনা প্রসঙ্গে নির্য়াতিতার দাদা সুবীর গড়াই বলেন, “আমার বোন সকালে বাথরুমে কাজ করছিল। সেখান থেকেই আশুতোষ গড়াই ও ওর ছেলে এসে টানতে টানতে নিয়ে যায়। ওদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে চোখ বেঁধে, হাত-পা বেঁধে গায়ে তেল ঢেলে দেয়। তারপরই আগুন লাগিয়ে দেয়। আমি খবর পেয়ে ওখানে গিয়ে দেখি দাউ দাউ করে জ্বলছে আমার বোন। ও এখন একদম ভাল নেই ও। হাসপাতালে ভর্তি আছে। ডাক্তার জবাব দিয়ে দিয়েছে।”
কিন্তু, ঝামেলার সূত্রপাত কবে থেকে সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “একটা বাড়ির প্লাস্টার করা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল ওদের সঙ্গে। যারা এ কাজ করেছে ওরা সবাই আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় হয়। বাড়ির একটা দিক প্লাস্টার করা নিয়ে ওদের সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছিল। তার মধ্যে রাগে আমার বোনকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়।”
ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিও উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা পরেশনাথ দে বলছেন, “ঘোরায়া বিবাদ চলছিল ওদের মধ্যে। প্লাস্টার করা নিয়ে ঝামেলা। যে মহিলার সঙ্গে এই কাজ হয়েছে তার স্বামী তো এখানে থাকে না। কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকে। সেই সুযোগেই ওর উপর চড়াও হয়েছিল ওরা। আমরা দোষীদের কড়া শাস্তি চাইছি। এই কাজ একদমই ঠিক হয়নি।”