Burdwan: বিয়ের বয়সই হয়নি, শুধু অপেক্ষা করতে বলেছিল বাড়ির লোক, যুগল যা সিদ্ধান্ত নিল…
Burdwan Suicide: জানা গিয়েছে, ওই নাবালক-নাবালিকার মধ্যে বেশ কয়েক মাস আগে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে, বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। বিয়ের জন্য পরিবারের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করে তারা। কিন্তু বিয়ের জন্য যথোপযুক্ত বয়স না হওয়ায়, দুই পরিবারই সম্মতি দেয়নি।

বর্ধমান: অপ্রাপ্তবয়স্ক যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে। সোমবার বিকেলে গলসির জয়কৃষ্ণপুরের সাহেবডাঙা গ্রামে খড়িনদীর পাড়ে গাছ থেকে ওড়নায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় যুগলের দেহ উদ্ধার হয়। গলসি থানার পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। মৃত দুজনেরই বাড়ি আউশগ্রামের তকিপুরে।
জানা গিয়েছে, ওই নাবালক-নাবালিকার মধ্যে বেশ কয়েক মাস আগে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে, বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। বিয়ের জন্য পরিবারের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করে তারা। কিন্তু বিয়ের জন্য যথোপযুক্ত বয়স না হওয়ায়, দুই পরিবারই সম্মতি দেয়নি। এরপর তাদের বহুবার বুঝিয়ে বিয়ের বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়। এরপর সোমবার বিকালে খড়িনদীর পাড়ে গাছে ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাদের দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়।
ছেলের দাদা লক্ষ্মীরায় কিস্কু বলেন, “প্রেম করছিল, সেটা বাড়ির লোক জানে। বিয়ে দেবেও বলেছিল। কিন্তু এখনই বিয়ের বয়স হয়নি বলে বাড়ির লোক এখনই বিয়ে দিতে চাইছিল না। তা থেকেই যে এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেটা কেউ ভাবেনি। মনে তো হচ্ছে সেই কারণেই। তবে আসল কারণ তো জানা নেই।”
মেয়ের মামা মঙ্গলা সরেন বলেন, “ভালবাসা ছিল। আগেও পালিয়ে গিয়েছিল। আমরা ফেরত নিয়ে আসি। ওদের বিয়ের বয়স হয়নি। পরশুদিন যখন বেরিয়েছে, আমরাও ভেবেছিলাম, পালিয়ে গেল নাকি আবার। তারপর তো গ্রামের লোকের থেকে শুনি এই ব্যাপার।”
