Kalna Scam: ‘বিকাশ ভবনে চেনা-পরিচিত রয়েছে’, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে চম্পট প্রধান শিক্ষক
Kalna Scam: মন্তেশ্বরের গনগনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মনোরঞ্জন পাল। তিনি তাঁর ছেলের চাকরির জন্য নাদন ঘাট থানার রামপুরিয়া হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার ঘোষকে ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে তাঁর দাবি।
কালনা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে তাবড়-তাবড় মাথা। তাঁদের জেরা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে নিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা। এহেন পরিস্থিতির মধ্যেও উঠে আসছে প্রতারণার খবর। এবার স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নামে ৯ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, টাকা না ফেরত দেওয়ায় অভিযোগকারীা নাদন ঘাট থানা ও মন্তেশ্বর থানা অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানা তা নিতে অস্বীকার করে বলে জানান ওই ব্যক্তি। পরে অভিযোগ দায়ের হয় কালনা মহকুমা আদালতে।
মন্তেশ্বরের গনগনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মনোরঞ্জন পাল। তিনি তাঁর ছেলের চাকরির জন্য নাদন ঘাট থানার রামপুরিয়া হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার ঘোষকে ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে তাঁর দাবি। চাকরি না হওয়ায়, টাকা ফেরত চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। মনোরঞ্জন বাবুর আরও অভিযোগ নাদন ঘাট থানাতে অভিযোগ করতে গেলে মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগ করতে বলে। অন্যদিকে, মন্তেশ্বর থানা অভিযোগ নিতে চায়নি। এরপর তিনি বাধ্য হয়ে কালনা মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হয়। তবে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। স্কুলেও তার দেখা পাওয়া যায়নি। তাঁর পরিবারের দাবি তিনি কোথায় থাকে তা তারা জানেন না।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় পাস করে মনোরঞ্জন পালের ছেলে। তবে চাকরি না হওয়ায় হতাশায় ভুগছিল এই পরিবারটি। ২০২১ সালে রামপুরিয়া হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার ঘোষের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাকে বলেন যে, কলকাতায় বিকাশ ভবনে বড় অফিসারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। নয় লক্ষ টাকা দিলে তিনি তার ছেলে চাকরি করে দেবেন।
সেই ফাঁদেই পা দেন মনোরঞ্জনবাবু। ছেলের চাকরির জন্য নয় লক্ষ টাকা দেন। কিন্তু দু বছরেও চাকরি করে দেয়নি। এরপর থেকেই ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে টাকা চাইলে তিনি নানান অজুহাত দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। পরে এক লক্ষ টাকার একটি চেক দিলে সেটিও বাউন্স করে। এর পরে টাকা চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
এই বিষয়ে মনোরঞ্জন পাল বলেন, “আমার ছেলে টেটে পাশ করে। তারপর থেকে চাকরি হচ্ছিল না। এক অনুষ্ঠান বাড়িতে মাস্টার মশাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়। সেই আমায় জানায় তাঁর সঙ্গে বিকাশ ভবনের কারোর চেনা পরিচয় রয়েছে। এরপরই আমি টাকা দিই। তবে আমার ছেলের চাকরি হয়নি। পরে থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানা অভিযোগ নেয়নি। কোর্টে যেতে হল”