মেমারি: তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে অসম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত গাইবার অভিযোগ বিজেপির। যে কর্মিসভা ঘিরে এই বিতর্ক, সেটি ছিল রবিবার। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি শহরে পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকারকে নিয়ে একটি কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রার্থী শর্মিলা সরকার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য, মেমারি পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী থেকে শুরু করে জেলার যুব সভাপতি, আইএনটিটিইউসি সভাপতি-সহ অন্যান্য শাখা সংগঠনের নেতারা। কর্মিসভার শেষের দিকে মন্ত্রী ও প্রার্থী বেরিয়ে যাওয়ার পর সভা শেষের ঠিক আগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন মঞ্চে থাকা তৃণমূল নেতারা। বিজেপির অভিযোগ, সেই সময়ই অসম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়েছে। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে এমন একটি অভিযোগ ঘিরে অস্বস্তিতে শাসক শিবির।
বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র এই ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘মঞ্চে রয়েছেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা। সেই মঞ্চে দেখা গেল জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গিয়ে মাঝপথে আটকে গেলেন। বন্ধ করে দিলেন। সম্পূর্ণ গাইতে পারলেন না। এর থেকে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। যাঁরা এই বয়সে এসেও জাতীয় সঙ্গীত সম্পূর্ণ গাইতে পারছেন না, তাঁরা সমাজের উন্নয়ন করতে পারেন না।’ প্রসঙ্গত, এই অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের সঙ্গেও। তাঁর অবশ্য বক্তব্য, ‘আমি সেখানে ছিলাম না। দলীয় স্তরে খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানাতে পারব। জাতীয় সঙ্গীত আমাদের সকলের গর্ব।’ তৃণমূল মুখপাত্রের অবশ্য এও যুক্তি, বৈদ্যুতিন মাধ্যমের যুগে যে কেউ তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও ভিডিয়ো ভাইরাল করতেই পারেন। কিন্তু সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা দরকার।
তৃণমূল মুখপাত্র বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখার কথা বলছেন বটে। কিন্তু যাঁরা সেই সময় কর্মিসভার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন? তাঁরা কীভাবে ব্যাখ্যা করছেন? বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্যের সঙ্গে। গতকালের কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন তিনিও। মেমারির বিধায়ক স্বীকার করে নিচ্ছেন, ভুল হয়েছে। বলছেন, ‘এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। এর জন্য আমরা অনুশোচনা প্রকাশ করছি। সকলের কাছে অনুরোধ, এটি যেন মার্জনার চোখে দেখা হয়। দ্রুততার সঙ্গে বিষয়টি খেয়াল রাখা সম্ভব হয়নি।’