Purbo Bardhaman Hooch Death: মদে বিষক্রিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪, পুলিশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা
Purbo Bardhaman Hooch Death: গ্রামবাসীদের অভিযোগ, চোখের সামনে এভাবে মদ বিক্রি হতে দেখেও পুলিশ নিশ্চুপ ছিল। পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক, তারই দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা।
বর্ধমান: বর্ধমানে মদে বিষক্রিয়ায় মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে চার। মৃতদের নাম শেখ সুরবতি (৩৪), শেখ হালিম (৪৩), চিন্ময় দে (৩৮) ও গৌতম দে(৪২)। বৃহস্পতিবার রাতেই মদে বিষক্রিয়ায় শহরে দু’জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের বাড়ি শহরের বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়া এলাকার শেখ হালিম এবং বাবুরবাগ এলাকার শেখ সুরবতি। ঘটনার খবর ছড়াতেই রাত থেকে এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল থেকেই শহর জুড়ে এডিজি ওয়েস্টার্ন জোন সঞ্জয় সিং ও পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেনের নেতৃত্বে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অবৈধ মদ বিক্রেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে সরাসরি পুলিশের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, খোদ বর্ধমান শহরের বুকে জি টি রোডের ধারেই একটি খাবারের হোটেলে অবৈধভাবে মদ বিক্রি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বিষয়টি আগেও একাধিকবার পুলিশকে জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, চোখের সামনে এভাবে মদ বিক্রি হতে দেখেও পুলিশ নিশ্চুপ ছিল। পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক, তারই দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা। পুলিশি টহলদারি মাধ্যমে এই সব হোটেলগুলি থেকে অবৈধ এই ব্যবসা বন্ধ করার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁরা অসুস্থ ও যাঁদের মৃত্য়ু হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই সর্বমঙ্গলা পাড়ার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরেছিলেন সুবরতি ও হালিম। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, তারপর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই রাতে যাঁরা মদ্যপান করেছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখ্য, অসুস্থ ও মৃতরা এক জায়গায় এক সঙ্গে বসে মদ্যপান করেননি। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে সকলে কোথা থেকে এবং কী মদ কিনেছিলেন।
বিষমদকাণ্ডের জেরে বর্ধমান শহরের সমস্ত মদের দোকান বন্ধের নির্দেশ জেলা আবগারি দফতরের। তড়িঘড়ি সমস্ত অফ ও অন শপ বন্ধ করল দোকানের মালিকরা। শহরে বিষমদকাণ্ডের জেরে যাতে আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও সমস্যা না হয় সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। যদিও আবগারি দফতরের পক্ষ থেকে এখোনও পর্যন্ত এবিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।