Satabdi Roy: ‘টিকিট না পেলেই যত অভিযোগ…’,দলকে ভালোবেসে কী করণীয় তা বিক্ষুব্ধদের বোঝালেন শতাব্দী!
Satabdi Roy in Purba Bardhaman: সাংসদ আরও বলেন, " আশা তো সবাই করে থাকে টিকিট পাব, কিন্তু টিকিট তো সবাই পায় না।"
পূর্ব বর্ধমান: শাসকদলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই (Candidate List)জেলায়-জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভের আগুন। পছন্দের প্রার্থীর টিকিট না মেলায় সামনে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। কোথাও আবার তৃণমূল নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান গোঁসা করে ছেড়েছেন পদ। এই বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে বাদ যায়নি পূর্ব বর্ধমানও। গতকাল রাতের পর থেকে দফায়-দফায় চলছে বিক্ষোভ। আর তাই দলের কর্মীদের শান্ত থাকার বার্তা দিয়ে আসরে নামলেন সাংসদ শতাব্দী রায়।
শনিবার শতাব্দী বলেন, “অনেকে আগে থেকেই ভেবে রাখেন তাঁরা টিকিট পাবেন, প্রার্থী হবেন। কিন্তু তাঁদের ভাবনা যখন মেলে না তখন একটা অভিযোগ তৈরি হয়। তাঁরা সেই অভিযোগটা কীভাবে প্রকাশ করবে সেটা নির্ভর করছে তাঁদের নিজেদের উপর। যদি দলের উপর ভালোবাসা থাকে তাহলে সেটাকে মেনে নিয়ে কাজ করাটাই উচিত।”এখানেই শেষ নয় সাংসদ আরও বলেন, “আশা তো সবাই করে থাকে টিকিট পাব, কিন্তু টিকিট তো সবাই পায় না। কেউ টিকিট না পেলে তখন এই সমস্যাটা দেখা যায়।” তবে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল এই নেত্রী সাফ-সাফ জানিয়ে দেন, এই বিক্ষোভ নির্বাচনের ফলাফলের উপরে কোনও প্রভাব ফেলবে না। তৃণমূলের সঙ্গে এখন বহু মানুষের সমর্থন রয়েছে। তাই আগেও কোনও প্রভাব পড়েনি, আর এখনও কোনও প্রভাব পড়বে না।”
পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না এক নম্বর ব্লকের পলাশন অঞ্চলের ধারান বুড়োপীর প্রগতি সংঘের সরস্বতী পূজার উদ্বোধন করতে এসে এই মন্তব্য করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা সাংসদ শতাব্দী রায়। ফিতে কেটে ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাংসদ। উল্লেখ্য, গতকাল রাতের পর বর্ধমান পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুই পক্ষের মধ্যে চলেছে লাগাতার বিক্ষোভ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় নামানো হয় র্যাফ। আর নতুন করে যাতে উত্তেজনা তৈরি না হয় সেই কারণে তিন নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তায় টহলদারি চলায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে ২,৩,৭,১৯,২৮,৩৫ সহ বর্ধমান পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিক্ষোভ শুরু হয়। পাশাপাশি মেমারী ও গুসকরা পৌরসভার একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ চলে।