Snehasish Chakraborty: মানিকের পাশে দাঁড়াচ্ছে না দল, কাটোয়ায় সাফ জানালেন পরিবহণ মন্ত্রী
Manik Bhattacharya arrested: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য।
কাটোয়া: মানিক ভট্টাচার্যের পাশে দাঁড়াচ্ছে না দল। কাটোয়ায় সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। প্রভাবমুক্ত বিচারের জন্যেই অভিযুক্ত নেতাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না বলে জানালেন মন্ত্রী।
মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের একটি বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান সভাতে যান রাজ্যের মন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি বলেন, ‘এর আগে শিক্ষা দফতরের নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়েছে। বিচার ব্যবস্থায় যেন কোনও রকম রাজনৈতিক প্রভাব না পড়ে। বিচারের মধ্যে দিয়ে যে রায় আসবে তৃণমূল কংগ্রেস তাকে স্বাগত জানাবে। অভিযুক্তদের পাশে দল দাঁড়াচ্ছে না একথা ঠিক কিন্তু মুশকিল হচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কোনও তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মিডিয়া ট্রায়ালের নামে টিভিতে তাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র আদালতের আছে। সেজন্য রায়ের অপেক্ষায় আমরা থাকব।’
বস্তুত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। সোমবার রাতে মানিককে লাগাতর জেরা করে ইডি। রাতভর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে রাতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর মঙ্গলবার বেলা আড়াইটে নাগাদ তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। মানিককে এজলাসে তোলার আগেই বিজেপি নেতা সজল ঘোষের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা কর্মীরা। চটি হাতে বিক্ষোভের পাশাপাশি আদালত চত্বরে ওঠে ‘চোর চোর’ ‘স্লোগান।
এ দিকে, মানিক গ্রেফতারিতে অবশ্য সেই রাজনীতিই খুঁজেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর বক্তব্য, ‘বিচারবিভাগীয় বিষয় নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলব না। ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছে। আমরা জানি ইডি-র কনভিকশন রেট মাত্র .৪৫ শতাংশ। বিগত কয়েক বছরে ইডি সিবিআই-এর ব্যবহার ৩৬৫ শতাংশ বেড়েছে। যার মধ্যে ৯৫ শতাংশ বেছে বেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে। বিরোধী দলগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এও দেখেছি পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতিতে ডুবে থাকা বিজেপি নেতাদের স্পর্শই করে না ইডি সিবিআই। আমরা চাইব তদন্ত দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হোক।’ যদিও, স্নেহাশিস চক্রবর্তীর বক্তব্যে এদিন ধরা পড়ল অন্য সুর।