অক্সিজেনের কালবাজারি, দেহ ফেলে চম্পট! করোনা কালে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের নির্মমতার খণ্ড চিত্র
করোনা-কালে (COVID Situation) অক্সিজেনের কালোবাজারি। কালনায় গ্রেফতার তিন অ্যাম্বুল্যান্স চালক।
বর্ধমান: করোনা-কালে (COVID Situation) অক্সিজেনের কালোবাজারি। কালনায় গ্রেফতার তিন অ্যাম্বুল্যান্স চালক (Ambulance Drivers)। তাঁদের বাড়িতে হানা দিয়ে সাতটি অক্সিজেন সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। অভিযোগ, সমীর হাজরা, কমল ঘোষ এবং চিন্ময় রায় নামে এই তিনজন, ওই সিলিন্ডারগুলি চড়া দামে বিক্রির জন্য মজুত করেছিল।তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্সগুলি কালনা (Kalna) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে রাখা থাকত।
এদিকে, আবার অ্যাম্বুলেন্স চালকের নির্মমতার নজির দেখা গেল বজবজে। অনেক ভাড়া আছে, এখন আর নিয়ে যাওয়া যাবে না…’ মুখের ওপর সপাটে জবাব দিয়ে রাস্তায় দেহ ফেলে চম্পট দিলেন অ্যাম্বুলেন্স চালক। ৫ ঘণ্টা সেখানেই পড়ে রইল দেহ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়া বিধানসভা নোদাখালির চকমানিক গ্রামের এই অভিযোগ ফের কাঠগড়ায় দাঁড় করাল মানবিকতাকে।
চকমানিক গ্রামের বাসিন্দা অভিজিৎ রায় তাঁর মাকে নিয়ে থাকতেন। আগে থেকেই অভিজিতের হৃদরোগের সমস্যা ছিল। রবিবার বিকালে তাঁর আচমকাই বুকে ব্যথা হওয়ায় তাঁর মা ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন। বজবজের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা অভিজিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অভিযোগ, অভিজিতের মৃত্যুর পরই অ্যাম্বুলেন্স চালক বাহানা শুরু করেন। ‘অনেক ভাড়া আছে’ বলে অভিজিত রায় দেহ বাড়ির কাছে রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে যান তিনি। ৫ ঘণ্টা দেহ পড়ে থাকে রাস্তার ওপরেই। কিন্তু পাশে কেউ এগিয়ে আসেননি।
আরও পড়ুন: আমাকেও গ্রেফতার করুন! সিবিআই দফতরে গিয়ে চাপ বাড়ালেন মমতা
খবর যায় বজবজ ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাছে। সভাপতি বেশ কয়েকজনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পিপিই ড্রেস পড়ে শববাহি গাড়িতে দেহ তুলে বজবজ কালিবাড়ি চিত্রগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।