Purba Bardhaman: ‘ধরে-ধরে জ্বালিয়ে দেব’ বলেছিলেন বিধায়ক, থানায় গেল BJP
Bardhaman: অভিজিৎ তা জানিয়েছেন, সম্প্রতি বর্ধমান শহরের ঘোড়দৌড় চটি এলাকায় তৃণমূলের এক সভায় নিশীথ মালিক প্রকাশ্যে বলেন, "প্রকৃত ভোটার যদি একটাও বাদ যায়, তাহলে আমরা প্রত্যেকটা বিজেপিকে ধরে-ধরে আগুন জ্বালিয়ে দেব।" এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি কার্যত বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের প্রতি হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ বিজেপির।

বর্ধমান: বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি। যার জেরে তুমুল শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিকের বিতর্কিত মন্তব্যকে ঘিরে ফের উত্তাল জেলা রাজনীতি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা।
অভিজিৎ তা জানিয়েছেন, সম্প্রতি বর্ধমান শহরের ঘোড়দৌড় চটি এলাকায় তৃণমূলের এক সভায় নিশীথ মালিক প্রকাশ্যে বলেন, “প্রকৃত ভোটার যদি একটাও বাদ যায়, তাহলে আমরা প্রত্যেকটা বিজেপিকে ধরে-ধরে আগুন জ্বালিয়ে দেব।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি কার্যত বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের প্রতি হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ বিজেপির। বিজেপির জেলা সভাপতির পাশাপাশি, বর্ধমান উত্তরের নাড়ী অঞ্চলের মণ্ডল সভাপতি সঞ্জয় দাসও জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাসের কাছে একই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিজিৎ তা জানান, “আমরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এবং এই অভিযোগকে এফআইআর হিসাবে গ্রহণ করার আবেদন জানিয়েছি। মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ দায়েরের পরও পুলিশ এখনও কোনও মামলা রুজু করেনি। তবে আমরা চাই, অবিলম্বে ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। প্রয়োজনে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।”
অন্যদিকে, এই অভিযোগকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক বাগবুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগ যে কেউ করতেই পারে। প্রশাসন তদন্ত করবে। ওই দিন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকা মিছিলে অংশ নিতে এসে বিধায়ক অসাবধানতাবশত একটি মন্তব্য করেছিলেন, যা তিনি দলের নির্দেশে পরে শুধরে নিয়েছেন। এটাই গণতন্ত্রের স্বাস্থ্যকর দিক।”
তিনি আরও বলেন, “বিজেপি ক্রমাগত এনআরসি ও এসআইআর নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে। এমনকী বলছে,বাংলার দেড় কোটি ভোটার বাদ যাবে। বিজেপির এই মন্তব্য সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। নিশীথবাবুর বক্তব্যও সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।” তবে নিশীথ একাই নন, এর আগে বৈধ ভোটারের যদি নাম বাদ যায় তাহলে মোথাবাড়ি লণ্ডভণ্ড করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও। অপরদিকে, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন।
