রামনগর: কয়েকদিন আগেই অধিকারী গড় হিসেবে পরিচিত কাঁথিতে সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে জিতেছিল তৃণমূল। এবার তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির রামনগরে সমবায় নির্বাচনে উড়ল গেরুয়া আবির। অখিলের বিধানসভা কেন্দ্র রামনগরের হিরাপুর সমবায়ে জিতল বিজেপি। বিজেপি পেয়েছে ২৭টি আসন। আর ঘাসফুল পেয়েছে ১৪টি আসন। তবে কেউ কারও বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসনগুলি জিতেছে তৃণমূল ও বিজেপি।
শনিবার রামনগর ১ ব্লকের হীরাপুর সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির ৪১টি আসনের মধ্যে বিজেপি ২৭টি আসন ও তৃণমূল ১৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করল। ১২ জানুয়ারি এই সমবায় সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
শুক্রবার ছিল মনোনয়ন জমার শেষ দিন। উভয় দলের সমর্থিত প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দেয়নি। বিজেপি ২৭টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিল। আর তৃণমূল বাকি ১৪টি আসনে মনোনয়ন জমা দেয়।
বিগত নির্বাচনে এই সমবায় সমিতিতে ১৭টি আসনে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। এবার ৩টি আসন কমেছে তৃণমূলের। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল ও বিজেপির পক্ষে সব আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই জয় নিয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, “শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হলে বিজেপির জয় হবে। তৃণমূল কংগ্রেস গুন্ডাদের দিয়ে হামলা, লুঠ, ছাপ্পা ভোট না করালে, যেখানে নির্বাচন হবে সেখানেই জয়লাভ করব আমরা।”
প্রশ্ন উঠছে, দুই দল কি সমঝোতা করে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি? তবে তা মানতে চায়নি তৃণমূল। রামনগর ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি উত্তম দাস বলেন, “কোনও সমঝোতা হয়নি। যদি কিছু হয়, তা নিচুস্তরে হয়েছে। তা অজানা আমাদের। সমবায় নির্বাচন তো রাজনৈতিক নির্বাচন নয়। তবে প্রার্থী না পাওয়ায় আমরা শেষ পর্যন্ত সব আসনে প্রার্থী দিতে পারিনি।”
পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়া নিয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আশিস প্রামাণিক বলেন, “তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে অলিখিত সমঝোতা তৃণমূলস্তর থেকে ওপরতলা পর্যন্ত রয়েছে। আমরা এই অলিখিত জোট নিয়ে বারবার সরব হয়েছি। এই সমবায় সমিতির নির্বাচন তার প্রমাণ। অশুভ জোটের ফলের মাশুল দিতে হবে।”