শুভেন্দুর দেহরক্ষীর মৃত্যুর তদন্তে মহিষাদলে সিআইডি দল, রেকর্ড হল পরিবারের বয়ান

CID: ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর। কাঁথির ইএফ লাইন ব্যারাকে নিজের রিভলবারের গুলিতেই গুরুতর আহত হন তৎকালীন তৃণমূল মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মী শুভব্রত চক্রবর্তী।

শুভেন্দুর দেহরক্ষীর মৃত্যুর তদন্তে মহিষাদলে সিআইডি দল, রেকর্ড হল পরিবারের বয়ান
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 12, 2021 | 9:11 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর। কাঁথির ইএফ লাইন ব্যারাকে নিজের রিভলবারের গুলিতেই গুরুতর আহত হন তৎকালীন তৃণমূল মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মী শুভব্রত চক্রবর্তী। তিন বছর পর সেই মৃত্যুর রহস্যভেদ করতে এদিন মহিষাদলে গেল সিআইডি (CID) দল।

আহত হওয়ার পরের দিন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল শুভব্রতবাবুর। এই ঘটনার প্রায় তিন বছর পর মৃত্যুর ‘আসল’ কারণ জানাতে তদন্ত চেয়ে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুভব্রতর স্ত্রী সুপর্ণা কাজ্ঞিলাল চক্রবর্তী। মামলায় নাম জড়িয়েছে স্বয়ং শুভেন্দুর নাম। যা নিয়ে তীব্র হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। রবিবারই মামলার তদন্ত ভার নিয়েছে সিআইডি। আর তারপরেই রথযাত্রার দিন মহিষাদলের সরবেড়িয়াতে মৃত পুলিশ কর্মী শুভব্রতর বাড়িতে হাজির হয় ৪ সদস্যের সিআইডি দল।

সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ মৃত পুলিশ কর্মী শুভব্রতর বাড়িতে পৌঁছয় সিআইডি দল। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কথা বলেন তাঁরা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিআইডি দলের সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি। তবে জানা গিয়েছে, এদিন একাধিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ওই দিন সঠিক ঠিক কী ঘটেছিল তা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁদের বয়ানের ভিডিয়ো রেকর্ড করা হয়েছে।

মৃতের স্ত্রী সুপর্ণা কাজ্ঞিলাল চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন ঘটনার দিন সকাল ১০টা নাগাদ স্বামীর সঙ্গে তাঁর শেষবার কথা হয়। এর পর সকাল ১১টা নাগাদ তিনি খবর পান শুভব্রত নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু কেন কোনও কারণ ছাড়া শুভব্রত আত্মহত্যা করতে গেলেন? এ নিয়ে তদন্ত চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন সুপর্ণা দেবী। আঙুল উঠেছে বিধানসভার বিরোধী নেতার দিকেও।

যদিও এই ঘটনার পর শুভব্রতর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সাহায্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভব্রতর দুই মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্বও নিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তা সত্ত্বেও এত দিন পর কেন এই অভিযোগ দায়ের করল পরিবার? শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন, এটা নিছকই রাজনৈতিক অভিসন্ধি। অন্যদিকে মৃতের স্ত্রী দাবি করেছেন যে, সে সময় ক্ষমতাশীল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার মতো জোর ছিল না তাঁদের। এখন সিআইডি তদন্তে কী উঠে আসে সেটাই দেখার। আরও পড়ুন: দেহরক্ষীর মৃত্যুর তদন্ত করছে সিআইডি… শুনেই শুভেন্দু বললেন, ‘জয় জগন্নাথ’!