Mamata on Suvendu Adhikari: নিজের বইতে শুভেন্দুর কথা কেন লিখেছিলেন মমতা? ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন ‘পাল্টে দেব’

Mamata Banerjee on Nandigram: মমতা উল্লেখ করেন, সে দিন ব্রাশ কিংবা শাড়ি কিছুই সঙ্গে ছিল না। কোনও রকমে রাত কাটিয়ে, চেয়ে-চিন্তে শাড়ি পরে পরের দিন গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের দিকে। কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছিল তাঁর দিকে। পরে অ্যাম্বুল্যান্সে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় তাঁকে।

Mamata on Suvendu Adhikari: নিজের বইতে শুভেন্দুর কথা কেন লিখেছিলেন মমতা? ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন 'পাল্টে দেব'
মমতার লেখা বই-তে আছে শুভেন্দুর কথাImage Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2024 | 6:14 PM

মেদিনীপুর: আন্দোলনের পীঠস্থান মেদিনীপুর। আর তমলুকে এলে আমার অনেক পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে। তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের প্রচারে গিয়ে কার্যত স্মৃতিচারণেই মগ্ন হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে যখন গুলি চলেছিল, তখন কীভাবে সেখানে ঢুকেছিলেন সেই কাহিনি শোনালেন প্রচার-মঞ্চ থেকে। মনে করালেন, সে দিন জেলার আর কোনও নেতা-নেত্রীকে রাস্তায় দেখা যায়নি। শিশির অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তিনি বলেন, ‘বাবা-ছেলে সে দিন বাড়ি থেকে বেরোয়নি।’ কিন্তু নন্দীগ্রাম নিয়ে লেখা বইতে শিশির-শুভেন্দুর কথা কেন লিখেছিলেন, সেই ব্যাখ্যাও এদিন দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

যে দিন গুলি চলেছিল, সেদিনের কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, “আমাকে কোলাঘাটে আটকে দিয়েছিল। আমার গাড়িতে পেট্রোল বোমা মারার চক্রান্ত হয়েছিল। রাজ্যপাল সরে যেতে বলেছিলেন। তারপর কোলাঘাটে গেস্ট হাউসে গেলাম। সেখানেও যাতে ঢুকতে যাতে না পারি, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জিনিস নিয়ে, গেট টপকে ঢুকতে হয়েছিল।”

তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমানের কথা উল্লেখ করে মমতা জানান, পরের দিন সকালে আনিসুরকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘ওরা তো আটকে দিচ্ছে, কী করে পৌঁছই বলত?’ এরপর আনিসুরকে বলেছিলেন, ‘কাউকে কিছু বলবি না, তুই বাইক চালাবি আর আমি পিছনে বসব। আগে তমলুকে যাব। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিল তখন।’ সেই আনিসুরকে জেলবন্দি করা পিছনেও যে শুভেন্দু অধিকারীর হাত, তেমনটাই অভিযোগ করেন মমতা।

মমতা উল্লেখ করেন, সে দিন ব্রাশ কিংবা শাড়ি কিছুই সঙ্গে ছিল না। কোনও রকমে রাত কাটিয়ে, চেয়ে-চিন্তে শাড়ি পরে পরের দিন গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের দিকে। কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছিল তাঁর দিকে। কিন্তু ‘পিতা-পুত্র’ কেউ বেরোয়নি বলেই দাবি করেন মমতা। তাহলে নন্দীগ্রাম নিয়ে লেখা বইতে কেন অধিকারীদের কথা লিখলেন, সে কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, “১০ দিন পিতাও বেরোয়নি, পুত্রও বেরোয়েনি। হ্যাঁ আমার বইতে ওদের নাম লিখেছিলাম, কারণ আমি আমার নিজেদের লোকের নাম কী করে অস্বীকার করি বলুন। তখন আমাদের সঙ্গে ছিল, তাই সম্মান দেওয়ার জন্য লিখেছিলাম। আজ লিখতে হলে ওটা পাল্টে দেব, সংশোধন করে দেব।” মমতার দাবি, নন্দীগ্রামের মানুষকে জিজ্ঞেস করলেই জানা যাবে, অধিকারী পরিবারের সদস্যরা রাস্তায় ছিলেন কি না।

নন্দীগ্রাম যাওয়ার পথে টিয়ার গ্যাসে অসুস্থ হওয়ার পর কীভাবে অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল, সে কথাও উল্লেখ করেন মমতা। উল্লেখ্য, বাম জমানায় নন্দীগ্রামে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূল বারবার দাবি করে, শুভেন্দু অধিকারী সেই সময় আন্দোলনে ছিলেন না। আর শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, তিনি নন্দীগ্রামে আন্দোলন করেছিলেন বলেই আজ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা।