Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে ডায়মন্ড হারবার মডেলের প্রসঙ্গ,শুভেন্দু বললেন, ‘১ কোটি দিলেও কোনও হিন্দু ভোট দেবে না’
BJP Suvendu Adhikari: আসলে গতকাল কেরলে দুর্ঘটনায় নিহত পরিযায়ী শ্রমিক ভীমচরণ বারিকের দেহ বিমানে করে আনার ব্যবস্থা করে দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব ও তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান নিহতের পরিবার।

পূর্ব মেদিনীপুর: ভোট যে এসে যাচ্ছে তা বোধহয় বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, দুই যুযুধান রাজনৈতিক দুই দলের নেতারা যে ভাবে একে অপরকে আক্রমণ করছেন তাতে বোঝাই যাচ্ছে এবার দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলার ভোট। গতকাল অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর শুভেন্দুর নন্দীগ্রামের একাংশ মানুষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ডায়মন্ড-হারবার মডেলের’ ভূয়সী প্রশংসা করেন। শুধু তাই নয়, তাঁরাও চান নন্দীগ্রামে এই মডেল চালানো হোক। সেখানকার তৃণমূল নেতাদেরও একাংশ তাতে সম্মতি দেন। এবার সেই বিষয়েই মুখ খুললেন সেখানকার বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সাফ বক্তব্য, “এক কোটি টাকা দিলেও নন্দীগ্রামের কোনও হিন্দু ওঁকে (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) ভোট দেবে না।”
কী নিয়ে বিতর্কের শুরু?
আসলে গতকাল কেরলে দুর্ঘটনায় নিহত পরিযায়ী শ্রমিক ভীমচরণ বারিকের দেহ বিমানে করে আনার ব্যবস্থা করে দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব ও তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান নিহতের পরিবার। একই সঙ্গে এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান। সেই সময়ই প্রসঙ্গ ওঠে এই ডায়মন্ডহারবার মডেলের। তৃণমূল কর্মীদের একাংশ বলেন, নন্দীগ্রামেও হোক ডায়মন্ড হারবার মডেল। মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে রামাপদ বারিক বলেন, “আমার পরিবার ও আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার বাবা যখন ভিন রাজ্যে মারা গেলেন সেই সময় আমাদের নানাভাবে সাহায্য করেছেন তিনি, আমরা চাই উনি ডায়মন্ড হারবারে স্বাস্থ্য শিবির খুলেছেন ঠিক সেই ভাবেই এখানেও কোনও উদ্যোগ নিক।” যেহেতু নন্দীগ্রাম শুভেন্দুর খাস তালুক এবং বঙ্গে ভোটের আবহ, তাই এই ধরনের মন্তব্যকে গুরুত্ব সহকারেই দেখছেন রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশ। তাঁরা মনে করছেন,তবে কি শুভেন্দু গড়ে ধীরে ধীরে ফুটছে ঘাসফুল?
শুভেন্দু কী বলেছেন?
এরপর গতকালই এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে তিনি বলে দেন, “এক কোটি টাকা দিলেও নন্দীগ্রামের কোনও হিন্দু ওঁর (অভিষেক) পাটিকে ভোট দেবে না।” তিনি এও বলেন, “এই ধরনের পরিষেবা আমি এখানে প্রত্যেক দিন দিই।” এরপরই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ” ও রাসবিহারীর এনজিওকে দিয়ে যা করেছে তা ইনকাম ট্যাক্স নোটিস করেছে। সময় আসুক আমি সব তথ্য ফাঁস করে দেব। এগুলো করে কিছু হবে না। দেবব্রত মাইতি ও রতিবালা আড়ি, দুজন হিন্দুকে খুন করেছে ওদের পার্টি। এক কোটি টাকা দিলেও কিছু হবে না। কোনও হিন্দু ভোট দেবে না। চুরির যত মাল আছে সব বদ রক্ত বেরিয়ে যাক। এপ্রিলের পর আর ও থাকবে না। ইট খুলে নিয়ে আসব ওর বাড়ি থেকে, শুধু দেখতে থাকুন।”
