Purbo Medinipur: শাড়ি টাঙিয়ে আড়াল… ‘টাকা দিতে পারিনি, তাই রাত হতে ত্রিপল টাঙিয়েই কিনা…’, বিপন্নতা দেখে চোখ নীচু করছে সমাজ
Purbo Medinipur: দিনের পর দিন বন্যার জলে ভাঙা বাড়িতে কোনওভাবে বসবাস করছেন। কাঁচা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ আবেদনের পরেও নাম নেই আবাস যোজনার তালিকায় বলে অভিযোগ। ত্রিপল টাঙিয়ে দিন কাটাচ্ছে জয় কৃষ্ণপুরের একাধিক পরিবার।
পূর্ব মেদিনীপুর: ‘টাকা দিতে পারিনি তাই ঘর পাইনি…’ বন্যা কবলিত এলাকায় আবাস যোজনার পাকার বাড়ি থেকে বঞ্চিত একাধিক এলাকাবাসী। এহেন অভিযোগ উঠল পাঁশকুড়ায়।
দিনের পর দিন বন্যার জলে ভাঙা বাড়িতে কোনওভাবে বসবাস করছেন। কাঁচা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ আবেদনের পরেও নাম নেই আবাস যোজনার তালিকায় বলে অভিযোগ। ত্রিপল টাঙিয়ে দিন কাটাচ্ছে জয় কৃষ্ণপুরের একাধিক পরিবার। পাঁশকুড়ার জয়কৃষ্ণপুর এলাকায় বন্যার জলে ভেঙে যায় একাধিক মাটির বাড়ি। বন্যার জল নেমে গেলে সেই বাড়ি বসবাসের অযোগ্য হয়ে ওঠে। এমনকি একেকটা বাড়ির পেছনের দেওয়াল ধসে গিয়েছে । তারা অন্যের বাড়ির ছাদে অথবা ভাঙা ছিটেবেড়ার বাড়ির পাশে ত্রিপল টাঙিয়ে বসবাস করছেন।
সম্প্রতি আবাস যোজনার একটি তালিকা বের হয়েছে জেলার একাধিক ব্লক এলাকায়। সেই তালিকায় নাম না থাকায় দুঃখপ্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। তাঁরা বলেন , “যাঁদের পাকার এক দুই তলা বাড়ি, তাঁরা পাচ্ছে। অথচ আমরা যাঁরা যোগ্য তাঁরা আবাস যোজনার বাড়ি পাচ্ছি না।”
এলাকার সিপিআইএম নেতৃত্বের বক্তব্য, আবাস যোজনার ক্ষেত্রে তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ, যাঁরা তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, অথচ যাঁরা প্রকৃত প্রাপক তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে ।
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ খারিজ করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুজিত রায় বলেন, যাঁরা প্রকৃত প্রাপক তাঁরাই পাবেন। মাটির বাড়ি যাঁদের আছে তাঁরাই প্রকৃত প্রাপক।