Purba Medinipur: জীবন দিয়ে প্রেমের খেসারত! ইনস্টাগ্রাম লাইভে গলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মঘাতী ছাত্রী
Purba Medinipur: রীতার পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। তবে সে মা-বাবার একমাত্র সন্তান। পরিবার সূত্রে খবর, যখন রীতা এ ঘটনা ঘটায় তখন বাড়িতে কেউ ছিল না। এলাকার অনেকেই দেখছিলেন এই লাইভ। পরিস্থিতি বিপদসীমার উপর যাচ্ছে বুঝতে পেরেই ছুটে আসেন রীতার বাড়িতে।

পটাশপুর: প্রেমের খেসারত দিতে হল এক্কেবারে জীবন দিয়ে! ইন্সটাগ্রাম লাইভে এসে গলায় ওড়না জড়িয়ে ঝুলে পড়ল কলেজ পড়ুয়া। হ্যাঁ এমনটাই ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ইনস্টাগ্রামে লাইভে আসে রীতা রায় নামে ওই পড়ুয়া। আত্মহত্যার কথা বলতেই অনেকেই মনে করেন মিথ্যা ভয় দেখাচ্ছে, কমেন্টের বন্যাও বয়ে যায়। কিন্তু মুহূর্তেই তা এক্কেবারে সত্যি হয়ে যাবে তা ভাবতে পারেননি কেউই।
রীতার বাড়ি পটাশপুর দুই ব্লকের মালিপাটনা গ্রামে। স্থানীয় বারবাটিয়া হাইস্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে খাকুড়দার একটি বেসরকারি কলেজে ডিএলএড করছিল। সোশ্যাল মিডিয়া মারফত মৃত্যুর খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। ইতিমধ্যেই পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে।
রীতার পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। তবে সে মা-বাবার একমাত্র সন্তান। পরিবার সূত্রে খবর, যখন রীতা এ ঘটনা ঘটায় তখন বাড়িতে কেউ ছিল না। এলাকার অনেকেই দেখছিলেন এই লাইভ। পরিস্থিতি বিপদসীমার উপর যাচ্ছে বুঝতে পেরেই ছুটে আসেন রীতার বাড়িতে। ততক্ষণে সব শেষ। এলাকার লোকজন বলছেন, খুবই শান্ত স্বভাবের ছিল এই তরুণী। কারও সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করত না। সেই যে এই কাণ্ড ঘটাবে তা ভাবতেই পারছেন না কেউ। শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। সূত্রের খবর, যে সময় এই ঘটনা ঘটে তখনও কারও সঙ্গে ভিডিয়ো কলেও কথা বলছিলেন ওই ছাত্রী। পরিবার সূত্রে খবর, কলেজেরই কোনও যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল যুবতীর। তাতেই কোনও টানাপোড়েনের জেরে এই কাজ করে থাকতে পারে।
