Nandigram: ওয়াটগঞ্জে কাটা মুন্ডু নিয়ে শোরগোলের মধ্যে নন্দীগ্রামে পরপর দু’টি দেহ উদ্ধার, বাড়ছে রহস্য
Nandigram: শনিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন সুধীর। বাড়ির লোকজন আশপাশের এলাকায় খুঁজেও তাঁর কোনও খোঁজ পাননি। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যক্তি।
নন্দীগ্রাম: কলকাতার ওয়াটগঞ্জে মহিলার দেহাংশ উদ্ধারে জট যখন ক্রমেই আরও বাড়ছে তখন আবার নন্দীগ্রাম ও পটাশপুরে দু’টি দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য। বুধবার সকালে পটাশপুরের সিলামপুর গ্রামে সুধীর মিদ্যা (৫০) নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় গাছ থেকে। সকালে এলাকার লোকজন ধান জমিতে কাজ করতে যাওয়ার সময় তাঁর দেহ দেখতে পান। তাঁরাই খবর দেন বাড়িতে। মৃতের বাড়ি সাহাপুর গ্রামে। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
সূত্রের খবর, শনিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন সুধীর। বাড়ির লোকজন আশপাশের এলাকায় খুঁজেও তাঁর কোনও খোঁজ পাননি। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু, ঠিক কী কারণে তিনি এমনটা করে থাকতে পারেন তা নিশ্চিত হতে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে ঠিক আত্মহত্যা নাকি খুন তা তদন্ত শেষ হওয়ার আগে নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন পটাশপুর থানার ওসি রাজু কুন্ডু।
অন্যদিকে নন্দীগ্রামের খোদামবাড়িতে আবার বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে ৪৬ বছরের এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতার নাম আল্পনা দাস। এলাকায় তিনি সবজি বিক্রি করতেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন গত ৪-৫ দিন ধরে তাঁকে আর বাজারে সবজি বিক্রি করতে দেখা যায়নি। তাঁর স্বামী রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। বাড়িতে থাকেন না। ছেলে স্ত্রীর সঙ্গে থাকে শ্বশুরবাড়ি। বাড়িতে একপ্রকার একাই থাকতেন আল্পনা দেবী। তবে ঠিক কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরাই খবর দিয়েছিলেন পুলিশ। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তাঁর দেহ উদ্ধার করে।