Mamata Banerjee: অবশেষে হাতে এল নিয়োগপত্র, চাকরি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Nandigram: প্রসঙ্গত,  তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের কালীচরণপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর জালপাই গ্রাম।

Mamata Banerjee: অবশেষে হাতে এল নিয়োগপত্র, চাকরি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
চাকরি পেলেন এরাImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 19, 2024 | 1:30 PM

নন্দীগ্রাম: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন চাকরি দেওয়া হবে। সেই মতোই পৌঁছে গেল চাকরির নিয়োগ পত্র। বস্তুত, কয়েকদিন আগে রাজনৈতিক হিংসায় প্রাণ গিয়েছিল এক তৃণমূল কর্মীর। এছাড়া নিহতের দাদা যিনি তৃণমূলের বুথ সভাপতি, তিনিও অস্ত্রাঘাতে জখম হয়েছিলেন। হতাহত এই দুই পরিবারের নিকট আত্মীয়দের চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাঠিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ, দোলা সেনদের। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল চাকরির। সেই মতো ঢুকল নিয়োগপত্র। তবে কোন ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তাঁদের দাবি, ভোট হিংসায় বিজেপিরও অনেক কর্মীর মৃত্যু হয়।

জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফে নিহত বিষ্ণুপদ মণ্ডলের স্ত্রী সুস্মিতা মণ্ডল ও আহত গুরুপদ মণ্ডলকে বিকল্প শক্তি ভবনের অ্যাটেনডেন্ট পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। বিডিও সৌমেন বণিক  জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধেয় নন্দীগ্রাম-১ ব্লক অফিসে চাকরিতে যোগদান করেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের কালীচরণপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর জালপাই গ্রাম। অভিযোগ, গত ৮ ডিসেম্বর রাতে বিজেপি আশ্রিতদের দুষ্কৃতীদের সশস্ত্র আক্রমণে খুন হন বিষ্ণুপদ। দাদা গুরুপদ মণ্ডলকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হতে হয়েছিল তাঁকে। উপার্জনকারী স্বামী বিষ্ণুপদকে হারিয়ে দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন সুস্মিতা মণ্ডল।

মৃতের স্ত্রী চাকরিতে যোগ দিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কথা রেখেছেন। নইলে যে কী হত আমাদের জানি না।” মৃতের দাদা গুরুপদ মণ্ডল বলেন, “ঘটনার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে দলের নেতৃত্বরা আমাদের দুই পরিবারের খোঁজ নিয়েছিলেন। প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী কথা রেখেছেন। এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।” বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য সুদীপ দাস বলেন, “এটা পারিবারিক হত্যা। মুখ্যমন্ত্রী ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঠিক আছে। তবে বিজেপির দেবব্রত মাইতি, রথীবালা আড়িরা রাজনৈতিক ভাবে হিংসার শিকার হন। তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন খুন করেছিলেন এদের। এই সকল কর্মীদের পরিবারের পাশেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাঁড়ানো উচিৎ।”