High Court: দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে এল সব তথ্য, CID তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
Purulia: ২১ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে মৃতের ভাই সমন কুমার। ৩০ জুলাই প্রথম মামলার শুনানির সময় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আদালত।

পুরুলিয়া: দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশের মারে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল পুরুলিয়ায়। সেই ঘটনায় প্রথম রিপোর্ট দেখে সন্দেহ প্রকাশ করে আদালত। এবার দ্বিতীয় রিপোর্ট দেখল হাইকোর্ট।
গত ১৬ জুলাই মোবাইল চুরির অভিযোগে পুরুলিয়ার আরশা থানা এলাকার আরশা গ্রামের বাসিন্দা বিস্টু কুমারকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় আরশা থানার পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ পর তাঁকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই বিস্টু অসুস্থ হয়ে পড়েন।
১৯ জুলাই তারিখে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানীয় ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ। ২০ জুলাই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পরেই জেলার পুলিশ সুপার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিস্টু কুমারের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে ধরে বলেন, শরীরে বেশ কিছু অঙ্গের সমস্যা থাকায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মানতে নারাজ মৃতের পরিবার সহ গ্রামবাসীরা। ২১ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে মৃতের ভাই সমন কুমার। ৩০ জুলাই প্রথম মামলার শুনানির সময় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আদালত।
গত ৪ অগস্ট কেস ডায়েরি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। গত ৪ তারিখ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। কল্যাণীর এইমস হাসপাতালে গত ৭ অগস্ট দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়, ১৪ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো আজ, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা করা হয় আদালতে। সেই রিপোর্ট দেখে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘পুলিশের মারে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের।’ আদালতের তত্ত্বাবধানে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন।’
জেলা বিজেপির সহ সভাপতি গৌতম রায় এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, একজন জ্বলজ্যান্ত যুবককে পুলিশ মার্ডার করে সাংবাদিক সম্মেলন করে কীভাবে বলল স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে! দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে দেখা গিয়েছে, পুলিশের মারের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিআইডি তদন্ত করবে।
জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সহ সভাপতি সুশেন মাঝি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ এখনও আমরা দেখিনি। রিপোর্ট দেখে বলতে পারব, পুলিশের মারে মৃত্যু হয়েছে কি না।
