আশঙ্কা বাড়িয়ে এবার ইনডোর পরিষেবা বন্ধের নোটিস ঝোলাল হাসপাতাল

ক্রমেই খারাপ হচ্ছে রাজ্যের করোনা (COVID-19) পরিস্থিতি। নিয়মিত আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা।

আশঙ্কা বাড়িয়ে এবার ইনডোর পরিষেবা বন্ধের নোটিস ঝোলাল হাসপাতাল
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 21, 2021 | 8:22 PM

পুরুলিয়া: হাসপাতালের প্রায় অর্ধেকই করোনা (COVID-19) আক্রান্ত। তাই আপাতত বন্ধ হয়ে গেল পুরুলিয়ার ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্বিভাগ বা ইনডোরের পরিষেবা। এখনও অবধি বহির্বিভাগ বা আউটডোর পরিষেবা খোলা থাকছে। তবে এই পরিষেবা যে কতদিন দেওয়া সম্ভব হবে তা নিয়েও প্রশ্ন পুরুলিয়াবাসীর মনে।

হাসপাতালের কর্মীদের প্রায় ৫০ শতাংশই কোভিড-১৯ পজিটিভ। এই পরিস্থিতিতে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্বিভাগ পরিষেবা। রীতিমত নোটিস দিয়ে এই কথা জানানো হয়েছে রোগীদের।

এ প্রসঙ্গে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস মণ্ডল বলেন, “এখানে ডাক্তার, নার্স থেকে যাঁরা হাসপাতাল পরিষ্কার রাখেন তাঁদের অধিকাংশ করোনা আক্রান্ত। এই মুহূর্তে পরিষেবা দেওয়ার মত পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকায় আমরা অন্তর্বিভাগ পরিষেবা বন্ধ রাখছি।”

আরও পড়ুন: করোনা কড়চা: বিপদের ঝুঁকি এড়াতে ভ্যাকসিনের লাইনে সারি সারি ইটের টুকরো!

দেবাশিস মণ্ডলই জানান, ৩ জন মেডিকেল অফিসারের মধ্যে ২ জন করোনা আক্রান্ত। ১২ জন নার্সের মধ্যে সংক্রমিত ৫ জন। ৬ জন জেনারেল ডিউটি অ্যাসিসটেন্ট বা জিডিএ-এর মধ্যে ২ জনের শরীরে কোভিড-১৯ রয়েছে। ৩ জন সাফাই কর্মীর মধ্যে ১ জন পজিটিভ। পরিস্থিতি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে বলেই দাবি তাঁর।

পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকায় ইনডোর পরিষেবা বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে। তবে এখনই আউটডোর পরিষেবায় কোনও বদল আনা হচ্ছে না। একেবারে স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে। দেবাশিসবাবু বলেন, “এখানে ৩০টি শয্যা রয়েছে। নিয়মিত ভর্তি থাকেন ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী। রোগীদের বলা হচ্ছে পরিষেবা পেতে পাশের ব্লক বাঘমুণ্ডি, কোটশিলা কিংবা জয়পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে। গর্ভবতী, প্রসূতিদের সেখানে গিয়ে পরিষেবা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” তবে এই চড়া গরমে সংক্রমণের আতঙ্ক বুকে চেপে এক ব্লক থেকে অন্য ব্লকে ঘুরে বেড়াতে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে রোগী ও তাঁর আত্মীয়দের।