Kurmi Moverment: নবান্ন থেকে চিঠি, পাঁচ দিন পর উঠল কুড়মিদের অবরোধ
Kurmi Moverment: নবান্নের চিঠি পাওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত। তবে অবরোধ উঠলেও আন্দোলন চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন কুড়মিরা।
পুরুলিয়া: পাঁচ দিন পর উঠল কুড়মিদের অবরোধ। পাঁচ দিন ভোগান্তির পর অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন কুড়মিরা। নবান্নের চিঠি পাওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত। তবে অবরোধ উঠলেও আন্দোলন চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন কুড়মিরা। আন্দোলনের নেতা অজিত প্রসাদ মাহাতো জানিয়েছেন, প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁরা সেভাবে সহযোগিতা পাননি। কিন্তু প্রচণ্ড দাবদাহ চলছে, গরমে কষ্ট হচ্ছে, রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ, ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে, সেই সমস্যা ভেবেই অবরোধ তুলে নেওয়া হচ্ছে।
আদিবাসী কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে ১ এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহলে শুরু হয় ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামের অবরোধ কর্মসূচি।
গত ১ এপ্রিল থেকে পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া সহ বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকা জুড়ে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামে, লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচির নেওয়া হয়। এর আগেও কুড়মিদের তালিকাভুক্ত করার জন্য বিভিন্ন দাবিতে পুজোর আগে খড়্গপুরের খেমাশুলিতে কেন্দ্র সরকারের অধীনে থাকা রেলপথ আর জাতীয় সড়ক টানা পাঁচ দিন ধরে অবরোধ করেছিলেন। বিশাল প্রভাব পড়েছিল গোটা রাজ্যে।
এবারও পাঁচ দিন পরই উঠল অবরোধ। শনিবার রাতভোর পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন কুড়মি আন্দোলনের নেতৃত্ব। সারা রাত আলোচনা করেও কোনও সমাধানসূত্রে বেরোয়নি। প্রতিদিনই বহু ট্রেন বাতিল করতে হচ্ছে। চরম সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। রাজ্য সরকার যাতে জিআরপি এবং রাজ্য পুলিশের মাধ্যমে এই অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানানো হয়েছে রেলের তরফে। প্রয়োজনে আরপিএফ-ও সাহায্য করবে বলে জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। রাজ্য সরকারের তরফে যা যা পদক্ষেপ করার ছিল, তা করা হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের তরফেও জানানো হয়, রেল নিজেদের তরফ থেকে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে। রাজ্য প্রশাসন তাতে কোনও বাধা দেবে না। তারপরই প্রচণ্ড গরমেই তাঁরা আপাতত অবরোধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।