Abhishek on Kunal Ghosh: কুণালের ‘পাশে দাঁড়ালেন না’ তাঁরই সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন?

TMC MP Abhishek Banerjee: কুণাল যখন আরজি কর আন্দোলনে যোগ দেওয়া শিল্পীদের বয়কটের ডাক দিয়েছেন, সেই সময় তৃণমূল 'সেনাপতি' বলেন, "১৪ই অগস্ট যাঁরা রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন কেউ সমর্থন করুক বা না করুক আমি সাধুবাদ জানিয়েছিলাম। আমি আজও একই কথা বলছি। কারও ভাল লাগতে পারে বা খারাপ লাগতে পারে।"

Abhishek on Kunal Ghosh: কুণালের 'পাশে দাঁড়ালেন না' তাঁরই সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন?
কুণাল ঘোষ ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 02, 2025 | 4:10 PM

ডায়মন্ড হারবার: এই কয়েকদিন আগের ঘটনা। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ একাংশ কলা-কুশলীদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছিলেন, দু’মাস আগে যাঁরা আরজি কর নিয়ে বিপ্লব করে এসেছেন, তৃণমূলের অনুষ্ঠানে নাচ-গান যেন না করেন। তবে কুণালের সেই কথা পাত্তাই দিলেন না তাঁরই ‘সেনাপতি’ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিষ্কার জানালেন, কে কোথায় অনুষ্ঠান করবেন বা কোন ক্লাব কোন সদস্যকে অনুষ্ঠান করাবেন সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। বস্তুত, বরাবরই অভিষেকের হয়ে ‘সওয়াল’ করতে দেখা যায় কুণাল ঘোষকে। সম্প্রতি, অভিষেককে তাঁর জন্মদিনে ‘ভাবী মুখ্যমন্ত্রী’ বলেও সম্বোধন করেছিলেন। তবে কুণালের সেই ‘সেনাপতিই’ তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করেননি। জোর দিয়েছেন ব্যক্তি স্বাধীনতায়।

কুণাল যখন আরজি কর আন্দোলনে যোগ দেওয়া শিল্পীদের বয়কটের ডাক দিয়েছেন, সেই সময় তৃণমূল ‘সেনাপতি’ বলেন, “১৪ই অগস্ট যাঁরা রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন কেউ সমর্থন করুক বা না করুক আমি সাধুবাদ জানিয়েছিলাম। আমি আজও একই কথা বলছি। কারও ভাল লাগতে পারে বা খারাপ লাগতে পারে।” অভিষেক প্রশ্ন তুলে বলেছেন, “কোথায় কাকে নিয়ে গান গাওয়াবে, কখন গাওয়াবে, কে গান গাইবে আমি জোর করে কারও মাথায় চাপাতে চাই না। আমি কোথা দিয়ে হাঁটব-চলব এটা আমার সিদ্ধান্ত। স্বাধীনতা সকলের আছে। উনি বলতে পারেন। পার্টির তরফে কেউ বলেছে? কোনও নোটিস দেখেছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা আমি জেনারেল সেক্রেটারি কিছু বলেছি?”

এ দিন, অভিষেককে কুণাল ইস্যুতে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। সেই সময়ই অভিষেক জানান, এক শিল্পী তাঁকে ফোন করে বলেছেন তাঁর অনুষ্ঠান নাকি বাতিল হয়েছে। পরে তৃণমূল সাংসদের হস্তক্ষেপে ফের সেই ক্লাব ওই শিল্পীকে দিয়েই অনুষ্ঠান করিয়েছেন। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যেহেতু উনি ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছেন। আমি সঙ্গে-সঙ্গে মেলা কমিটির সদস্য-সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করি। কথা বলি। যিনি ফোন করেছিলেন তিনিও শো করেছেন পরে জানতে পারি।” অর্থাৎ এর থেকেই অনুমান করা যাচ্ছে কুণালের এই বক্তব্যের পর শিল্পীদের কেউ কেউ অনুষ্ঠান করার জন্য অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। এখন দেখার তৃণমূল নেতার কথায় কতটা কাজ হয়।

বস্তুত, কুণাল ঘোষ কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, “আরজি করের নিন্দা করেছে বলে বাদ একদম নয়। একশো শতাংশ নিন্দা করবেন। কেন করবেন না? যাঁরা এই স্লোগান দিয়েছেন অমুকের গালে-গালে জুতো মারো তালে-তালে কখনও বলছেন বাংলাদেশের মতো পালাতে হবে। মিথ্যা বিকৃত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে নাটক করেছেন। আমাদের দলের আয়োজিত কোনও অনুষ্ঠানে যেন তাঁদের দেখা না যায়। তৃণমূল কর্মীদের আবেগে আঘাত লাগছে।” এরপরই শুরু হয় বিতর্ক।