কলকাতা : কাজের সময় ডাক্তারবাবু আছেন কোথায়? জানতে হোয়াটসঅ্যাপে লোকেশন শেয়ারের নির্দেশ দিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ! দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল (Baruipur Subdivision Hospital) কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক। গত সপ্তাহে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের অন্তত ৪০ ঘণ্টা উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সেই নির্দেশিকার সূত্র ধরে সোমবার এমনই এক নির্দেশিকা জারি করেছে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়েছে, বহির্বিভাগ, ওটি, অন কল পরিষেবা, ইমার্জেন্সি, এইচডিইউ, এসএসসিইউয়ে কর্মরত মেডিক্যাল অফিসারদের কাজে যোগ দেওয়ার সময় লোকেশন শেয়ার করতে হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এ হেন নির্দেশিকা ঘিরে জোর চর্চা চলছে চিকিৎসক মহলে।
বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে ওই নির্দেশিকায় লোকেশন শোয়ার করে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানোর জন্য তিনটি নম্বরও দেওয়া হয়েছে। তিনটি নম্বরের মধ্যে একটি স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ কর্তার। এই নির্দেশিকা ঘিরে চিকিৎসকদের একাংশ বেশ অসন্তুষ্ট। তাঁদের বক্তব্য, ডাক্তারদের কাছে এ ভাবে লোকেশন শেয়ার করে হাজিরা নিশ্চিত করার বিষয়টি অপমানজনক। তবে এর পাল্টা যুক্তিও রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, কোভিড আবহে হাসপাতালের কর্মসংস্কৃতি অনেক ক্ষেত্রেই শিকেয় উঠেছে। হাসপাতালের কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে হলে প্রযুক্তির সাহায্য নিতেই হবে! এমনই মনে করছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, রাজ্যে যখন কোভিড পরিস্থিতি চলছিল, তখন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলির আউটডোর পরিষেবার ক্ষেত্রে একাধিকবার রোগীদের নাজেহাল হতে দেখা গিয়েছে। আউটডোর খোলা থাকলেও দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায়নি, এমন ঘটনাও দেখা গিয়েছে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের আউটডোরে এমনই এক ঘটনার জেরে গতবছর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে চিকিৎসকদের হাজিরা নিয়ে কড়াকড়ি করা হয়েছিল। এবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিয়ে কড়াকড়ি করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। তবে যেভাবে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকা জারি করে হোয়াটসঅ্যাপে লোকেশন শেয়ার করার কথা বলেছে, তা নিয়ে এক বিতর্ক থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : Home Department Budget: আনিস হত্যা, কাউন্সিলর ‘খুনের’ আবহে ১০ বছর পরে স্বরাষ্ট্র বাজেট পেশ করবেন মমতা