AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Canning: ছাত্রীর হোয়াটস অ্যাপে নোংরা মেসেজ পাঠনোর অভিযোগ, প্রিন্সিপালকে পুলিশ গাড়িতে তুলতেই বললেন, ‘সরি..সরি’

Canning: শনিবার এ বিষয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় অভিযোগকারিনীর পরিবার। উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরেও। স্কুলে এসে পৌঁছয় ক্যানিং থানার পুলিশ। স্কুল থেকে প্রিন্সিপালকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয় সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি স্কুলের প্রিন্সিপাল।

Canning: ছাত্রীর হোয়াটস অ্যাপে নোংরা মেসেজ পাঠনোর অভিযোগ, প্রিন্সিপালকে পুলিশ গাড়িতে তুলতেই বললেন, 'সরি..সরি'
অভিযুক্ত অধ্যক্ষImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 12, 2025 | 6:16 PM
Share

ক্যানিং: কসবার ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। সেই সময় জোকায় আবার একটি বেসরকারি কলেজে ধর্ষণের অভিযোগ। শিক্ষাঙ্গনে লাগাতার এই ঘটনার মধ্যে এবার আরও একটি নারী নিগ্রহের অভিযোগ। ক্যানিংয়ের নাবালিকা ছাত্রীকে অশ্লীল মেসেজ প্রিন্সিপালের বলে অভিযোগ। আটক অভিযুক্ত।

ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের একটি বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। সেখানেই নাবালিকা ছাত্রীকে অশ্লীল মেসেজ করার অভিযোগ স্কুলের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ক্যানিং থানা এলাকায়। অভিযোগ সামনে আসতেই অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে আটক করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। অভিযোগ খতিয়ে দেখে অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাসও।

নাবালিকার পরিবারের দাবি, ওই অধ্যক্ষ একাধিক নোংরা মেসেজ পাঠায় তাঁকে। দিনের পর দিন এই কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছেন তিনি। এমনকী তিনি হুমকি দেন এই বিষয়ে কাউকে জানালে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হবে। এই নিয়ে ভয়ও দেখান তিনি। সম্প্রতি স্কুল ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করলে এ বিষয়ে মা-বাবাকে জানায়। এরপর সেই ছাত্রীর কাছে পাঠানো মেসেজ দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রীর পরিবার।

শনিবার এ বিষয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় অভিযোগকারিনীর পরিবার। উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরেও। স্কুলে এসে পৌঁছয় ক্যানিং থানার পুলিশ। স্কুল থেকে প্রিন্সিপালকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয় সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি স্কুলের প্রিন্সিপাল। শুধু হেসে-হেসে বললেন, “সরি…সরি।” বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, “এটা একটা সিবিএসসি বোর্ডের স্কুল। ওই স্কুলের বর্তমান যিনি অধ্যক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। তিনি ছাত্রীদের খারাপ-খারাপ মেসেজ করেন। নোংরা নোংরা কথা বলেন।” অপরদিকে অভিযোগকারিনীর বাবা বলেন, “অধ্যক্ষ গত এক বছর ধরে আমার মেয়েকে যৌন হেনস্থা করে যাচ্ছেন। ও বোর্ডের পরীক্ষা দেবেন বলে আমরা ধৈর্য ধরে ছিলাম এতদিন। এবার আমরা স্টেপ নেওয়া শুরু করলাম। বর্তমানে উনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও আমরা ছেড়ে কথা বলব না।”