AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jadavpur University: উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ে নিখোঁজ যাদবপুরের পড়ুয়া, উৎকণ্ঠায় পরিবার

JU student missing in North Bengal: সৌর্যদীপ্ত সেনগুপ্ত নামে তাঁর এক বন্ধু সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, গত ৪ অক্টোবর রাত ২টার দিকে হোমস্টে মালিককে ফোন করেছিলেন হিমাদ্রি। হোমস্টে মালিক জানিয়েছেন, বিপদে পড়েছেন বলে তাঁকে ফোনে জানান হিমাদ্রি। সেইসময় টেন্টের ভিতরে ছিলেন যাদবপুরের এই পড়ুয়া। এরপর থেকেই তাঁর ফোন বন্ধ।

Jadavpur University: উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ে নিখোঁজ যাদবপুরের পড়ুয়া, উৎকণ্ঠায় পরিবার
হিমাদ্রির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তাঁর বাবা-মাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2025 | 8:48 AM
Share

ডায়মন্ড হারবার: ভারী বৃষ্টি ও ধসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। আশ্রয়হীন বহু মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। বিপর্যস্ত এই উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে গিয়ে নিখোঁজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া। হিমাদ্রি পুরকাইত নামে ওই পড়ুয়ার সঙ্গে কোনওরকমভাবে যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিজন ও বন্ধুরা। উদ্বেগে রয়েছেন বাবা-মা।

হিমাদ্রির বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের পারুলিয়া উপকূল থানার দক্ষিণ কামারপোল এলাকায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। কখনও ট্যুর গাইড হিসেবে, কখনও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাহাড়ি এলাকার হোমস্টে কটেজে কাজ করেন। জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ে একটি ভ্রমণকারী দলের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাহাড়ে যান তিনি। গত ২২ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে রওনা দেন। দার্জিলিংয়ের সুখিয়াপোখরি থানার সোনাদা সংলগ্ন একটি হোমস্টেতে উঠেছিলেন। বন্ধুদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ ছিল। কিন্তু শনিবার রাত থেকে তাঁর সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করতে পারেননি।

সৌর্যদীপ্ত সেনগুপ্ত নামে তাঁর এক বন্ধু সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, গত ৪ অক্টোবর রাত ২টার দিকে হোমস্টে মালিককে ফোন করেছিলেন হিমাদ্রি। হোমস্টে মালিক জানিয়েছেন, বিপদে পড়েছেন বলে তাঁকে ফোনে জানান হিমাদ্রি। সেইসময় টেন্টের ভিতরে ছিলেন যাদবপুরের এই পড়ুয়া। এরপর থেকেই তাঁর ফোন বন্ধ। রবিবার সুখিয়া পোখরি থানা হিমাদ্রির বাবা-মাকে জানায়, প্রবল বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যায় টেন্টটি ভেসে যেতে পারে।

ছেলের খবর না পেয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন হিমাদ্রির বাবা-মা। হিমাদ্রির বাবা প্রশান্ত পুরকাইত ও মা শুক্লা পুরকাইত বলেন, শনিবার রাতে শেষবার হিমাদ্রির সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। হিমাদ্রির মা বলেন, “রোজ ফোন করত। শনিবার রাত ১০টাতেও কথা হয়েছে। বলল, মা শুয়ে পড়েছি। খুব বৃষ্টি হচ্ছে। মনে হচ্ছে, বিদ্যুৎ থাকবে না। রবিবার সকাল থেকে ফোন পাচ্ছি না।” তাঁদের ছেলে যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে আসতে পারেন, সেই প্রার্থনা করছেন হিমাদ্রির বাবা-মা।