Baruipur Hospital: চুক্তি শেষ, তাই পাইপলাইন বন্ধ সরকারি হাসপাতালে, কী ভাবে অক্সিজেন পাবে রোগীরা?
Baruipur Hospital: চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় বাড়তে পারে বিপত্তি। পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন পরিষেবা বন্ধ হতে চলেছে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে।
বারুইপুর: দায়িত্ব প্রাপ্ত এজেন্সিগুলোর সঙ্গে হাসপাতালের চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে পাইপলাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ পরিষেবা (ম্যানিফোল্ড পদ্ধতি) যে কোনও দিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এর ফলে হতে পারে রোগীদের চরম ভোগান্তি। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ঈশ্বর চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে বিষয়টি। কিছু অসুবিধা হলেও বেশি করে নজরদারি রাখার কথা বলেছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ তথা স্থানীয় বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে সব জানিয়েছি। বলা হয়েছে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ চালু রাখার জন্য। অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাবে রোগীদের যেন কোনও সমস্যা না হয় তা দেখতে বলা হয়েছে। আশা করছি দু একদিনের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে।’
দু বছর আগে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল করোনা হাসপাতাল হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে এমজিপিএস পদ্ধতিতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ চালু করা হয়েছিল। তা থেকেই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও পরিষেবা চলত। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পিএসএ প্যান্টের মাধ্যমে বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন পরিষেবা বন্ধ হতে চলেছে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে।
পাইপলাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য মোট ৫৮ টি ডি টাইপ সিলিন্ডার রয়েছে ওই হাসপাতালে। যার মধ্যে এখন ১৬টি এখন চলছে। এই ডি টাইপ অক্সিজেন সিলিন্ডারে থাকে ১৫০ কেজি অক্সিজেন, যার মাধ্যমে ১ ঘন্টায় ১৫ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ হয়। যে এজেন্সি এই কাজের দায়িত্বে ছিল তাদের সঙ্গে চুক্তি চলতি বছরের ৩১ মার্চ শেষ হয়ে গিয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বেঁচে থাকা সিলিন্ডার দিয়ে ওই সংস্থা পরিষেবা চালু রেখেছে।
এক চিকিৎসক বলেন, ‘বি টাইপ অক্সিজেন পরিষেবা হল পুরনো আমলের। এক জন রোগীর জন্য একটি করে সিলিন্ডার লাগে। সিলিন্ডার গুলিতে ৫০ কেজি অক্সিজেন থাকে, এতে প্রতি ঘন্টায় ১০ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ হয়। এতে প্রচুর লোকদের প্রয়োজন পড়ে ও অনেক নজরদারির প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেই পরিমান লোক এখন হাসপাতালে নেই।’ এমনকী, তাড়াহুড়োয় অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের। তাঁদের বক্তব্য, এই বি টাইপ পরিষেবা চালু হলে রোগীদের মুখে অক্সিজেন দেওয়া (এন আর বি এম) পরিষেবাও ব্যহত হবে।