Balurghat: এক বছরে আড়াই কোটির বেতন বাকি, লাগাতার দাবি করেও সুরাহা না হওয়াতে চরম সিদ্ধান্ত
Balurghat: তথ্য বলছে, হাসপাতালের শুধু পুরনো ভবনেই শতাধিক অস্থায়ী কর্মী রয়েছে। তাঁদের সকলেরই নিয়োগ একটি এজেন্সির মাধ্যমে। পাশাপাশি জেলাজুড়ে এই অস্থায়ী কর্মী সংখ্যা প্রায় আড়াইশোর বেশি। তাঁরা মূলত ২৭টি হাসপাতাল-স্বাস্থ্য কেন্দ্র কাজ করেন।
বালুরঘাট: এক বছর ধরে অমিল বেতন। দিন দিন বেড়েই চলেছে বকেয়ার পরিমাণ। সূত্রের খবর, বর্তমানে বকেয়া প্রায় আড়াই কোটি টাকা। হাসপাতালের উপর মহলেও জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বেতনের দাবিতে এবার চরম সিদ্ধান্ত বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুরনো ভবনের অস্থায়ী কর্মীদের। অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাক দেওয়া হল কর্মবিরতির। তবে শুধু এখানেই নয়, বেতন সমস্যা না মিটলে আগামীতে এজেন্সির মাধ্যমে যাঁরা কাজ করছেন গ্রামীণ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে তাঁরা শীঘ্রই কাজ বন্ধ করে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে।
তথ্য বলছে, হাসপাতালের শুধু পুরনো ভবনেই শতাধিক অস্থায়ী কর্মী রয়েছে। তাঁদের সকলেরই নিয়োগ একটি এজেন্সির মাধ্যমে। পাশাপাশি জেলাজুড়ে এই অস্থায়ী কর্মী সংখ্যা প্রায় আড়াইশোর বেশি। তাঁরা মূলত ২৭টি হাসপাতাল-স্বাস্থ্য কেন্দ্র কাজ করেন। অভিযোগ, প্রায় ১ বছরের বেশি সময় ধরে হাতে টাকা পাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট এজেন্সি। সে কারণে কর্মীদেরও সময়ে বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সবথেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন সাফাই কর্মী, লন্ড্রি কর্মীরা।
এই খবরটিও পড়ুন
ইতিমধ্যেই সমস্যার কথা এজেন্সির তরফে বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জেলা শাসককেও। কিন্তু, তারপরেও সমস্যার সুরাহা হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। ট্রেজারি অফিসার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিল আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ করছেন অস্থায়ী কর্মীরা। সে কারণেই তাঁরা বাধ্য হয়ে কর্মবিরতির পথে হাঁটছেন বলে জানাচ্ছেন। বিতর্কের আবহে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।