South 24 Parganas Crime: নতুন চাকরি না হয় পেয়েছে, তা বলে ‘নিরীহ’ স্বামীর সঙ্গে এমনটা কে করে! ক্ষোভে ফুঁসছেন পড়শিরাই
South 24 Parganas Crime: সোমবার অনেকটা রাতেই চিৎকার চেঁচামেচি ফের শুরু হয়। তারপর সব স্তব্ধ। প্রতিবেশীরা কৌতুহলবশত বাড়িতে এসে দেখেন সমীর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। মেঝেতেও রক্তের দাগ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রায়শই স্বামী-স্ত্রীর ঝামেলা লেগে থাকত। প্রতিবেশীরা সে কথা জানতেনও। নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসারে মূলত অশান্তি হত গার্হস্থ্য অনুশাসন নিয়েই। টাকা পয়সা নিয়ে ঝামেলা লেগেই থাকত দু’জনের মধ্যে। সোমবার রাতেও অশান্তি হয়। কিন্তু রোজকার ঘটনা ভেবে প্রথমটায় বিশেষ আমল দিতে চাননি প্রতিবেশীরা। রাতে যখন অদ্ভুত একটা গোঙানির শব্দ শুনতে পান পড়শিরা, তখনই তাঁরা ঘরের ভিতরে ঢোকেন। ততক্ষণে মাথায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে বাড়ির কর্তার। মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত। বিষয়টা আঁচ করতে পেরেছিলেন প্রতিবেশীরা। তবে বাড়ির কর্ত্রী ততক্ষণে গায়েব। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের মজিলপুর এলাকায়। জয়নগরে স্বামীকে বটি দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বামী। তদন্তে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের হদিশ মেলেনি।
পেশায় দিনমজুর সমীর দাস ও তাঁর স্ত্রী রাখি মজিলপুর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। রাখি পৌরসভার অস্থায়ী সাফাইকর্মী। পরিবারে আর্থিক অনটন ছিল। তা নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। বাড়ির মালিকও মাঝেমধ্যে তাঁদের সমস্যার সমাধান করে দিতেন। কিন্তু কখনও আবার একান্ত ব্যক্তিগত বিবাদ ভেবে তাতে নিজেকে জড়াতেন না। সোমবার রাতেও তেমনটাই হয়েছিল।
বাড়ি মালিকের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পরই স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় সমীরের। সন্ধ্যায় অশান্তি চরমে ওঠে। এরপর দু’জনেই বাড়ি মালিকের দ্বারস্থ হন বিষয়টা নিয়ে। কিন্তু আগে ঝামেলা মেটালেও নিত্য অশান্তিতে বিরক্ত বাড়ি মালিকও এদিন এই ঝামেলায় জড়াননি। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, তখনকার মতো ঝামেলা মিটেছিল। কিন্তু রাত বাড়তেই তা নিল অন্য রূপ।
সোমবার অনেকটা রাতেই চিৎকার চেঁচামেচি ফের শুরু হয়। তারপর সব স্তব্ধ। প্রতিবেশীরা কৌতুহলবশত বাড়িতে এসে দেখেন সমীর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। মেঝেতেও রক্তের দাগ। তাঁরই মুখ থেকে প্রতিবেশীরা জানতে পারেন, স্ত্রী নাকি তাঁকে ঝামেলার মধ্যেই বটি দিয়ে দু’বার কুপিয়েছেন।
প্রতিবেশীরাই সমীরকে উদ্ধার করে স্থানীয় নিমপীঠ রামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। স্ত্রীর শাস্তিও দাবি করেছেন আক্রান্ত স্বামী। জয়নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
এক প্রতিবেশী বলেন, “এমনটা একদিন হওয়ারই ছিল। দুজনেরই মাথা গরম। রোজ ঝামেলা করত। কত বোঝানো হয়েছে ওদের। কোনও কথাই কাজে আসেনি। বউটা কাজ পাওয়ার পরই হাবভাব বেড়ে গিয়েছিল। এমনিতে মানুষ খারাপ নয় লোকটা।”
আরেক প্রতিবেশী বলেন, “স্ত্রী রোজ ঝামেলা করতে বলে বাড়ি মালিকের কাছে গিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু ওই মহিলা তা সহ্য করতে পারেননি। ঘরে ফিরতেই কোপ মারেন।”