Tiger Panic: বাঘের আগমন রুখতে এবার নাইলনের জালে বসল বিশেষ আলো
Tiger Panic: সাতবার বাঘের আগমন ঘটেছে লোকালয়ে। গুড়গুড়িয়া-ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীপুর গ্রামে বাঘের হামলায় জখম হয়েছে রাহুল হালদার নামের এক নবম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জঙ্গলের বাঘ জঙ্গলের মধ্যে রাখতেই নাইলনের জালে লাগানো হবে বিশেষ ধরনের আলো, নজরদারি বাড়াতে লাগানো হয়েছে ট্রাপ ক্যামেরা। লোকালয়ে বাঘের আনাগোনা বাড়ায় আতঙ্কিত ও বিরক্ত কুলতলির মইপিট বৈকুণ্ঠপুর ও গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। চলতি মাসের দুই সপ্তাহে।
সাতবার বাঘের আগমন ঘটেছে লোকালয়ে। গুড়গুড়িয়া-ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীপুর গ্রামে বাঘের হামলায় জখম হয়েছে রাহুল হালদার নামের এক নবম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া। এমনকি বারে বারে লোকালয়ে বাঘ চলে আসায় মৈপিঠের গঙ্গার ঘাট সংলগ্ন ম্যানগ্রোভের জঙ্গলে খাঁচা পেতে বাঘবন্দি করতে হয় দফতরকে। তারপরেও বিরাম নেই বাঘের আগমনে।
তাই জঙ্গলের বাঘ জঙ্গলে রাখার জন্যই এবার বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতে চলেছে বনদফতর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনদফতরের ডি এফ ও নিশা গোস্বামী জানিয়েছেন, বাঘের জঙ্গল আর সেই জঙ্গলের ধারে যে নাইলনের ফেন্সিং লাগানো রয়েছে সেই ফেনসিনের ৫ ফুট উপরে লাল,নীল,সবুজ রঙের আলো এমন করে বসানো হবে যাতে জঙ্গলের বাঘ সেই ফেন্সিংয়ের কাছে এলেই তার নজরে পড়বে। আর সেই আলো সন্ধ্যাবেলা থেকে জ্বলবে। সকাল হতেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
একই সঙ্গে কুলতলির গ্রাম লাগোয়া আজমলমারি ১ নম্বর ও ১১ নম্বর জঙ্গলে ট্রাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে, যাতে একই বাঘ লোকালয়ে চলে আসছে কিনা সেটা বোঝা যায়।