Crime News: ছোট্ট বাচ্চার সামনেই মা-বাবার চরম কাণ্ড, জানলার ফাঁক দিয়ে দেখেন পড়শিরাও…
South 24 Parganas: বৃহস্পতি বড়াল জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর তাঁদের বাড়িতে ভাড়া আসেন গায়েন দম্পতি। বুধবার বৃহস্পতিদেবী কাজ সেরে ফিরছিলেন, স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দিন পাঁচেক হল ভাড়া এসেছেন দম্পতি। স্বামী, স্ত্রী, এক মেয়ে। বৃহস্পতিবার দম্পতির দেহ উদ্ধার হল ঘর থেকে। একজন সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছিলেন, অন্যজন পড়েছিলেন মশারিতে। চার বছরের সন্তান তারই মধ্যে বসে রয়েছে। মর্মান্তিক এই দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন এলাকার লোকজন। এলাকাবাসীর অনুমান, স্ত্রীকে মেরে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের উদয়নপল্লিতে ঘটনাটি ঘটে। এলাকার লোকজন জানান, একেবারে এলাকায় একেবারেই নতুন। কারও সঙ্গে পরিচয়ও হয়নি। এরইমধ্যে কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা তাদের কাছেও পরিষ্কার নয়। জানা গিয়েছে ওই দম্পতির নাম নির্মল গায়েন ও চন্দনা গায়েন।
বাড়ির মালিক বৃহস্পতি বড়াল বলেন, “আমরা তো কিছুই জানি না। ওদের একটা আত্মীয় এসে ডাকছিল। কিন্তু কোনও সাড়া পায়নি। চলেও যায়। তারপর আমি ভাবলাম কাজে যাবে যখন আমি একবার ডাকি। ডাকছি, কিন্তু কিছুতেই উঠছে না। অনেকক্ষণ দরজায় ধাক্কাধাক্কি করার পর পাড়াশুদ্ধ লোক এসে ডাকাডাকি করে। শেষে জানলা খুলে দেখা গেল একজনের ঝুলন্ত দেহ। অন্যজন বিছানায় পড়ে রয়েছে। আমি তো ভয়ে দেখিনি। পাড়ার একজন জানলা খুলে উঁকি মেরে দেখেছে।”
বৃহস্পতি বড়াল জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর তাঁদের বাড়িতে ভাড়া আসেন গায়েন দম্পতি। বুধবার বৃহস্পতিদেবী কাজ সেরে ফিরছিলেন, স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়। এদিক ওদিক প্রশ্নও করেন। হঠাৎ কী হল, তা নিয়ে ধন্দে তিনিও। পাশেই বাড়ি কবিতা বড়ালের। তাঁরও একই কথা, “অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করছিল শুনছিলাম। ভাবলাম কেন এত ডাকাডাকি গিয়ে দেখে আসি। গিয়ে জানলাটা হালকা খুলে দেখার চেষ্টা করলাম প্রথমে। দেখছি একজন গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে, আরেকজন নীচে শুয়ে আছে। তারপর সবাই জড়ো হয়ে গেল। আমরা তো চিনিও না জানিও না। কোনও কথাও হয়নি কোনওদিন। কিছু ঝামেলারও শব্দ শুনিনি।”
৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপিতা দেবব্রত মণ্ডল বলেন, “সকাল সাড়ে ৭টা ৮টা নাগাদ আমার কাছে খবর আসে। বাড়ির মালিক জানান, তাঁদের বাড়িতে একজন ভাড়াটে ছিল, চার পাঁচদিন এসেছে, পরিচিতিও তৈরি করে উঠতে পারেনি। ঘরে একটা ছোট বাচ্চা রয়েছে বলল। দেহ উদ্ধার হয়েছে। আমি নরেন্দ্রপুর থানাতে জানাই। পুলিশ আসে।” জানা গিয়েছে, চন্দনারা হিঙ্গলগঞ্জের। এখানে নির্মলের দিদির বাড়ির পাশে ভাড়া থাকেন। বুধবার একটি সাইকেলও কেনেন নির্মল। কেন এই ঘটনা, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।