Katwa: এক গর্ভবতী সহ ৮টি হনুমানকে বিষ খাইয়ে খুন? কাঠগড়ায় TMC নেতা
Katwa: গত শনিবার থেকে কেতুগ্রামের শাখায় গ্রামে একাধিক হনুমানের মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। বনদফতরের কর্মীরা নটি দেহ উদ্ধার করে। এলাকাবাসীর দাবি, ১৫ টির বেশি হনুমানের মৃত্যু হয়েছে। তাদের ধারনা ফসল বাঁচাতে কলার সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হনুমানগুলিকে খাওয়ানো হয়েছিল।
কাটোয়া: এক সঙ্গে প্রায় ন’টি হনুমানের মৃত্যু। তার মধ্যে রয়েছে আবার এক গর্ভবতী হনুমান। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। তদন্তে নেমে দোষীর কঠোর শাস্তি দাবি জানালেন বন দফতরের আধিকারিকরা।
গত শনিবার থেকে কেতুগ্রামের শাখায় গ্রামে একাধিক হনুমানের মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। বনদফতরের কর্মীরা ন’টি দেহ উদ্ধার করে। এলাকাবাসীর দাবি, পনেরোটির বেশি হনুমানের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের ধারণা ফসল বাঁচাতে কলার সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হনুমানগুলিকে খাওয়ানো হয়েছিল। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। সেই রিপোর্টে দেহ থেকে অতিমাত্রায় বিষ পাওয়া গিয়েছে। বনদফতরের প্রাথমিক ধারণা, ইচ্ছাকৃতভাবে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে সিতাহাটি পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের দাদা সাগর দাসের বিরুদ্ধে। সাগর দাসর বিরুদ্ধে কেতুগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে কাটোয়া বনদফতর।
বনদফতর জানিয়েছে,ন’টি হনুমানের মধ্যে একটি হনুমান গর্ভবতী ছিল। নমুনা সংগ্রহ করে তা পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক বিভাগে। মঙ্গলবার ঘটনার তদন্তে আসে জেলা বনদফতরের আধিকারিক সৌগত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যাঁরা এক গর্ভবতী হবু মাকে হত্যা করেছে তাঁদের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত।” অন্যদিকে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই সাগর দাসের বক্তব্য, তিনি জমির ফসল বাঁচাতে কীটনাশক দিয়েছিলেন। তবে হনুমান তাঁর জমিতে মারা যায়নি। তাঁকে রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।