Job Card : ‘তৃণমূলে যোগ দিলেই মিলবে জব কার্ড’, প্রলোভন দেখালেন তৃণমূল নেতা
Job Card : ১০০ দিনের কাজ বা অন্যান্য কোনো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে চান! তবে ফুল বদল করুন। আবেদন খানিকটা এরকমই ছিল। তৃণমূল নেতার বিজেপি কর্মীকে বলা এরকমই একটি উক্তি মালদার চাঁচলে ছড়িয়ে পড়েছে।
চাঁচল : ১০০ দিনের কাজ বা অন্যান্য কোনো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে চান! তবে ফুল বদল করুন। আবেদন খানিকটা এরকমই ছিল। তৃণমূল নেতার বিজেপি কর্মীকে বলা এরকমই একটি উক্তি মালদার চাঁচলে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া তো সাধারণের মানুষের অধিকারের মধ্যে পড়ে। সে শাসক দল বাদ দিয়ে বিজেপি করুক বা অন্য যেকোনও দলই করুক না কেন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা তার প্রাপ্য। তাই তৃণমূল নেতার এহেন কথাবার্তায় শোরগোল পড়েছে মালদার চাঁচলে।
মালদার চাঁচলের তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের আশ্রমপাড়া বুথের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা রাখি কর্মকার দাস। তাঁর স্বামী তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ দাস। বিশ্বজিৎ দাস তাঁর বুথের এক বাসিন্দা তথা বিজেপি কর্মী মনোজ সাহাকে ফোনে বলছেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলে তবেই মিলবে ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড, মিলবে বাংলা আবাস যোজনার ঘর থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পের সুবিধা। ফোনের কথোপকথনে পরিষ্কার শোনা যায়, বিশ্বজিৎ দাসকে ফোন করে জব কার্ডের খোঁজ নিচ্ছেন মনোজ সাহার কাছ থেকে। তাঁর প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “তুমি শুধু তৃণমূলের ঝাণ্ডা নিয়ে দলে যোগ দিয়ে দাও। সঙ্গে সঙ্গে তোমাকে জব কার্ড দিয়ে দেব।”
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর এই ফোন ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বিজেপি কর্মী মনোজ সাহা ইতিমধ্যেই সেই ফোনের রেকর্ডিং নিয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। বিজেপিও সরব হয়েছে তৃণমূল নেতার এহেন দল ভাঙানোর আবেদনে। এমন কাজ অন্যায় বলে দাবি তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বেরও। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছেন, এর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ দাস।
আরও পড়ুন : Maldah: বাবার ‘কীর্তি’ দেখে ফেলেছিল মেয়ে, তারপরই শিউরে ওঠার মতো ঘটনা…