সত্যজিৎ হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটে নাম ‘চক্রান্ত’: মুকুল
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে সিআইডি। সেখানে জগন্নাথ সরকারের নাম থাকলেও মুকুল রায়ের নাম ছিল না। এবারের চার্জশিটে নাম যোগ হল মুকুল রায়েরও
নদিয়া: সত্য়জিৎ বিশ্বাস খুনে মুকুল রায়ের নামে শনিবার চার্জশিট দাখিল করল সিআইডি। রানাঘাট আদালতে এদিন চার্জশিট জমা পড়ে। এ প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, “এর আগেও বহু মামলায় আমার নাম জড়ানো হয়েছে। সব মামলাই লড়ব। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে।” আগের অতিরিক্ত চার্জশিটে নাম ছিল বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের। এদিন জগন্নাথ সরকার বলেন, “এটা পুরোটাই রাজনৈতিক। এতদিন মুকুল রায়ের নামে চার্জশিট দেয়নি, ভেবেছিল উনি যদি তৃণমূলে ফিরে যান। ওই জন্য কিছুদিন দেরি হল। আমার নামে তো কিছুই পায়নি তবু চার্জ দিয়ে দিল। আসলে মুকুল রায় খাঁটি বিজেপি। আমাদের যুদ্ধের সেনাপতি।” বিজেপি সাংসদের আরও বক্তব্য, এই ঘটনা যে ষড়যন্ত্র তা খুব তাড়াতাড়িই প্রমাণ হয়ে যাবে।
West Bengal: CID today filed supplementary chargesheet in TMC MLA Satyajit Biswas murder case at Ranaghat Court in Nadia district, mentioning BJP Vice President Mukul Roy’s name.
Krishanganj TMC MLA Satyajit Biswas was shot dead during a Saraswati Puja programme in Nadia in Feb
— ANI (@ANI) December 5, 2020
তদন্তে নেমেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। এর মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে আগেই চার্জশিট পেশ করেন তদন্তকারীরা। বাকি দু’জন প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যান। মামলা থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয় তাঁদের। এই খুনেই নাম জড়িয়েছিল দুই বিজেপি নেতার। একজন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। অন্যজন মুকুল রায়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে সিআইডি। সেখানে জগন্নাথ সরকারের নাম থাকলেও মুকুল রায়ের নাম ছিল না। এবারের চার্জশিটে নাম যোগ হল মুকুল রায়েরও।
আরও পড়ুন: বিজেপির মিছিলে গুলি, রণক্ষেত্র আসানসোল
গত বছর সরস্বতী পুজোর আগের দিন বাড়ির সামনে গুলি করে খুন করা হয় সত্যজিৎ বিশ্বাসকে। অভিযোগ, এলাকার সব আলো নিভিয়ে সেদিন অন্ধকারে গুলি করে খুন করা হয়েছিল তৃণমূল বিধায়ককে। এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে মুকুল রায়, জগন্নাথ সরকারদের নামে। মুকুল রায়ের আইনজীবী সুমন রায় জানান, “কপি এখনও হাতে পাইনি। তবে অতিরিক্ত চার্জশিটে মুকুল রায়ের নাম রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর-এ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ছিল।”
সুমন রায়ের দাবি, “সিআইডি যে তদন্ত করছে সেটাই তো বেআইনি। রানাঘাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক তদন্তটাকেই নিষিদ্ধ করেছেন। অথচ সিআইডি তা উপেক্ষা করে গায়ের জোরে তদন্ত করছে। ফলে এই তদন্তও বেআইনি। তদন্তের চার্জশিটও বেআইনি।”
সিআইডির প্রথম চার্জশিটে নাম ছিল সুজিত মণ্ডল, অভিজিৎ পুণ্ডারী, নির্মল ঘোষ নামে তিন স্থানীয় যুবকের। এরপর অতিরিক্ত চার্জশিটে নাম যোগ হয় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের। এবার চার্জশিটে নাম এল মুকুল রায়ের। এদিন সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “বিমল গুরুং খুনের আসামী, তবু ও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা তো দার্জিলিং দখলের জন্য। বিজেপিকে হঠানোর জন্য। এগুলি সবই তৃণমূল সরকারের পরিকল্পনা মাফিক হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: কৃষক-কেন্দ্র বৈঠকের আগে মোদীর বাসভবনে শাহ, রাজনাথ