AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কৃষক-কেন্দ্র বৈঠকের আগে মোদীর বাসভবনে শাহ, রাজনাথ

কৃষক নেতা রাকেশ টিকাতের বক্তব্য, সরকার চাইছে এই তিন আইন সংশোধন করতে। কিন্তু আমরা চাই পুরোপুরি আইন রদ করা হোক।

কৃষক-কেন্দ্র বৈঠকের আগে মোদীর বাসভবনে শাহ, রাজনাথ
| Updated on: Dec 05, 2020 | 11:10 AM
Share

দিল্লি: কৃষি আইন নিয়ে শনিবার ফের মুখোমুখি হচ্ছে কৃষক সংগঠন ও কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, তার আগে এদিন সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে জরুরি বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। কৃষি আইনের বিরোধিতায় কৃষকদের আন্দোলন (Farmer Protest) শনিবার দশম দিনে পড়ল। ক্রমেই জোরাল হচ্ছে ‘অন্নদাতা’দের লড়াই। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠছে মোদী সরকার বিরোধী স্লোগান। নয়া তিনটি কৃষি আইন রদ না হলে এই আন্দোলনের আঁচ যে বহু দূর ছড়াবে, ইতিমধ্যেই তার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে কৃষক সংগঠনগুলি। আর এই সবকিছুর মধ্যেই শনিবার ফের সরকারের সঙ্গে বসবে কৃষক সংগঠনগুলি। এই নিয়ে পঞ্চমবারের জন্য বৈঠকে বসছেন কৃষকরা। আগের চারটি বৈঠকই হয়েছে ‘বন্ধ্যা’। এদিনের বৈঠকের ভবিষ্যৎ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এরইমধ্যে সংসদ ভবন ঘেরাওয়ের হুঙ্কারও দিয়েছেন কৃষকরা।

শুক্রবারই সাংবাদিক বৈঠক করে কৃষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, এই তিন নয়া আইন রদ না হলে তারা দিল্লি ছাড়বে না। উল্টে জল গড়াবে বহু দূর। তারই প্রথম ধাপ, আগামী ৮ ডিসেম্বর ডাকা ভারত বনধ। তাদের দাবি, এই তিন আইনের ক্ষেত্রে কোনওরকম সংশোধনীর পথে হাঁটা যাবে না। রদ করতে হবে আইনগুলি। দিল্লি-নয়ডার সংযোগকারী চিল্লা সীমানায় বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীরা জানিয়েছেন, “আজকের বৈঠকে যদি কোনও সমাধান না মেলে তা হলে আমরা সংসদ ঘেরাও করব।”

আরও পড়ুন: মমতার সভার সমর্থনে কাঁথিতে মিছিল, নেই অধিকারীরা

এদিন দুপুর দু’টোয় দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বৈঠক হওয়ার কথা। উপস্থিত থাকতে পারেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। গত বৃহস্পতিবারই কৃষকদের সঙ্গে টানা সাত ঘণ্টা বৈঠক করেন তিনি। যদিও তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। বেড়েছে আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ, অভিযোগ।

কৃষক নেতা রাকেশ টিকাত বলেন, “বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পরও এই সমস্যার কোনও সমাধান মেলেনি। সরকার চাইছে এই তিন আইন সংশোধন করতে। কিন্তু আমরা চাই পুরোপুরি আইন রদ করা হোক। যদি সরকার আমাদের দাবি না মানে আমরাও বিরোধিতা চালিয়ে যাব। শনিবারের বৈঠকে কী হয় তার উপরই আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করবে।”