Ushti Minor Physically Harassed: পাশের বেড থেকে উঠে এসে গলায় চাপ দিয়ে সহপাঠীকে যৌন ‘নিগ্রহ’, পরে ‘খুনের চেষ্টা’,ধৃত মিশনের আবাসিক
Ushti Minor Physically Harassed: কেউ জেগে পড়তে পারে, এই ভয়ে অভিযুক্ত নিজের বেডে গিয়ে শুয়ে পড়ে। নির্যাতিত কিশোরের গোঙানিতেই ঘুম ভেঙে যায় বাকিদের। ওয়ার্ডেনেরও ঘুম ভেঙে যায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: উস্থির নাবালককে যৌন নিগ্রহকাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে তার সহপাঠী। তাকে জেরা করে পুলিশের হাতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ধৃত কিশোর রোজ রাতে পর্নোগ্রাফি দেখত। নির্যাতিত কিশোর অত্যন্ত মেধাবী। তবে সে তার বাকি বন্ধুদের থেকে শারীরিক ভাবে খানিকটা দুর্বল। বাকি বন্ধুরা তাকে উত্ত্যক্ত করত বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনার রাতে অর্থাৎ ৩০ তারিখ রাতে উস্থির মিশনের ওই হোস্টেলের ঘরে ঠিক কী ঘটেছিল, তাও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, ওই রাতে হোস্টেলের অনান্য আবাসিকরা ঘুমিয়ে পড়েছিল। নির্যাতিত কিশোরের ঠিক পাশের বেডটাই অভিযুক্তের। অনেকটা রাতে অভিযুক্ত নির্যাতিত কিশোরের বিছানায় আসে। ঘুম ভেঙে যায় নির্যাতিতর। তখন অভিযুক্ত হাত দিয়ে গলা চেপে ধরে নির্যাতিতর। ফলে সে কোনও আওয়াজ করতে পারেনি। এরপর তার তাকে যৌন নিগ্রহ করে। কিন্তু তারপর কেউ জেগে পড়তে পারে, এই ভয়ে অভিযুক্ত নিজের বেডে গিয়ে শুয়ে পড়ে। নির্যাতিত কিশোরের গোঙানিতেই ঘুম ভেঙে যায় বাকিদের। ওয়ার্ডেনেরও ঘুম ভেঙে যায়।
গত ৩০ তারিখ ঘটনাটি ঘটে উস্থির মিশনের একটি হোস্টেলে। হোস্টেলের ঘর থেকে এক নাবালককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তখন তার কান-নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। মুখ দিয়ে গ্যাজলা বের হচ্ছিল। ওই কিশোরকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। তার এমআরআই রিপোর্টে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কিশোরের শিরদাঁড়ায় চোট ছিল। তার গলায় ক্ষত ছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, গলা চিপে ধরা হয়েছিল কিশোরের। শ্বাসরোধ করার চেষ্টা হয়েছিল বলে অনুমান করতে থাকেন তদন্তকারীরা। কিশোরের মস্তিষ্কও বেশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন সে। মানসিক ও শারীরিক ক্ষত এতটাই যে, হাসপাতালের বেডে শুয়ে কোনও কথাই বলতে পারছে না কিশোর। ফলে প্রাথমিকভাবে তদন্তে বেশ কিছুটা বেগ পেতে হয় পুলিশকে। প্রথমে সন্দেহ গিয়ে পড়ছিল, ওই আবাসিক হোস্টেলের ওয়ার্ডেনের দিকে।
পরে ঘটনার মোড় নেয় অন্য। ওই হোস্টেলে ২২ জন আবাসিক থাকে। প্রত্যেকেই প্রায় সমবয়সী। তাদের আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসা করা হয়। পুলিশ জানতে পারে, নিগৃহীত কিশোর পড়াশোনায় মেধাবী, কিন্তু শারীরিকভাবে দুর্বল। ফলে তাকে অনেক সময়ই বন্ধুরা উত্ত্যক্ত করত। জেরা চলতে থাকে। এক জনের কথায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন তদন্তকারীরা। তাকে টানা জেরা করা হয়। দুঁদে পুলিশ কর্তাদের চাপের মুখে একসময়ে ভেঙে পড়ে অভিযুক্ত কিশোর। তদন্তকারীদের কাছে গোটা বিষয়টি স্বীকার করে সে। কিশোর জেরায় স্বীকার করেছে, একাই সে এই কাজ করেছে। আগে এরকম ঘটনা ঘটেছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ওই কিশোরকে আপাতত জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।