Islampur: ‘অক্সিজেন ছাড়াই অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিল, ছেলেটা শেষ’, নার্সিংহোমের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়ল পরিবার
Islampur: শিলিগুড়ি থেকে মৃতদেহ ইসলামপুরে নিয়ে গিয়ে ওই নার্সিংহোমের সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে রোগীর আত্মীয়স্বজন।
উত্তর দিনাজপুর: চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল ইসলামপুরে (Islampur)। নার্সিংহোমের সামনে মৃতদেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকজন। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় ইসলামপুর শহরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
মৃতের নাম অজয় রায় (৩৯)। ইসলামপুর থানার আশ্রমপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার সকালে পেটের ব্যথা নিয়ে ইসলামপুর চৌরঙ্গি মোড়ে এক নার্সিংহোমে ভর্তি হন অজয়। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার চিকিৎসা চলাকালীন অজয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে তড়িঘড়ি শিলিগুড়িতে রেফার করে দেয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়ার পথেই অজয়ের মৃত্যু হয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানান। তারপরও শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। শিলিগুড়ি মেডিক্যালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর সংবাদ পেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।
শিলিগুড়ি থেকে মৃতদেহ ইসলামপুরে নিয়ে গিয়ে ওই নার্সিংহোমের সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে রোগীর আত্মীয়স্বজন। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতের পরিবারের দাবি, শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় অক্সিজেন দেওয়ার কথা বলেননি চিকিৎসক। নার্সিংহোমের গাফিলতিতেই এই মৃত্যুর ঘটনা বলে দাবি করেন পরিবারের লোকজন।
খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। যদিও ওই নার্সিংহোমের চিকিৎসক সৌমরূপ মণ্ডল বলেন, “রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনকই ছিল। ওনার পেটের সমস্যা। এর আগেও উনি একাধিক বার আমার আন্ডারেই ভর্তি হয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়িতেও ফিরে যান। তবে পুজোর সময় হয়ত এদিক ওদিক খাওয়ার কারণে আবারও পেটের সমস্যা হয়। উনি ভর্তিও হন ১৯ তারিখ। ওনার যা যা পরিষেবা দরকার সেখানে কোনও খামতি রাখা হয়নি। সকাল অবধি রোগী ভাল ছিলেন। পরে পরিস্থিতি খারাপ থাকায় মেডিক্যালে পাঠানো হয়। ওনাকে সবরকম চিকিৎসাই দেওয়া হয়েছে। এখানে গাফিলতির কোনও প্রশ্নই নেই।”
যদিও অজয় রায়ের কাকা কিরণ রায়ের বক্তব্য, “বুধবার অবধি আমাদের ছেলে ঠিক ছিল। আজ দুপুরেও বলেছে ঠিক আছে। আমার বাড়ির একজন ছিল সঙ্গে। ও ডাক্তারকে বলেছে গা হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে, মুখ দিয়ে ফেনা বেরোচ্ছে। ডাক্তার তখন বলছে, না খাওয়ার জন্য দুর্বল। তাই এরকম মনে হচ্ছে। আমাকে ফোন করে। আমি আসি। এসে তো দেখি খুবই খারাপ অবস্থা। গালে চড় মারলে তবে চোখ খুলছে। ডাক্তার যেই দেখল পরিস্থিতি খারাপ ছেলেটার নাকে যে নল ছিল সব খুলে তাড়াতাড়ি করে নিজের নার্সিংহোমের লোকজন, অ্যাম্বুুলেন্স দিয়ে বের করে দিল।”