Laxmir Bhandar: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করলেন? লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকেছে ১ কোটির বেশি অ্যাকাউন্টে

Mamata Banerjee: ২৫ থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন।

Laxmir Bhandar: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করলেন? লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকেছে ১ কোটির বেশি অ্যাকাউন্টে
এক কোটি ছাড়াল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অর্থপ্রাপকের সংখ্যা। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2021 | 11:33 PM

কলকাতা: এক কোটি ছাড়াল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Laxmir Bhandar) অর্থপ্রাপকের সংখ্যা। বৃহস্পতিবারই এক কোটি ছাড়াল এই সংখ্যা। অর্থাৎ এক কোটির উপরে মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে এখনও অবধি। এই টাকা সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের টাকা। এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ১০৮২ কোটি টাকা। বাকি ৫৯ লক্ষ মহিলার অ্যাকাউন্টেও খুব তাড়াতাড়ি টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নামক প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত অগস্টে জানিয়েছিলেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের লাভ পেতে শুরু করবেন বাংলার মহিলারা। তবে তার আগে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। তার জন্য অগস্ট মাসে ফের একবার দুয়ারে সরকারের আয়োজন করেছে রাজ্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তফসিলি ও আদিবাসীদের মাসে ১০০০ টাকা এবং জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে হাত খরচ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার এক কোটি ছাড়ালো লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে প্রাপকের সংখ্যা। এক কোটির বেশি মহিলার ব্যাংক একাউন্টে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের টাকা ঢুকে গেল। এই প্রকল্পে এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকারের খরচ হলো 1082 কোটি টাকা। বাকি 59 লক্ষ মহিলার একাউন্টে অতি দ্রুত টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলাশাসকের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী।

যে কোনও মহিলাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তবে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড এবং অন্য জাতিভুক্ত হলে সেই জাতির শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। যদি সেই শংসাপত্র কারও না থাকে, তা তৎক্ষণাৎ তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয় নবান্নের পক্ষ থেকে।

২৫ থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। মূলত তপশিলি জাতি-উপজাতি মহিলাদের জন্য মাসে ১০০০ টাকা ও সাধারণ মহিলাদের জন্য মাসে ৫০০ টাকা করে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তবে পুজো উপলক্ষে এবার ২ মাসের টাকা একসঙ্গে দেওয়া হয়েছে।

খুব স্বাভাবিক ভাবেই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতেই খুশির হাওয়া মহিলাদের মধ্যে। অনেক মহিলাই হয়ত আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী। কিন্তু এমনও বহু মহিলা রয়েছেন, যাঁরা খুব মন দিয়ে শুধু সংসার আগলেই থাকেন। স্বামী-সন্তান, সংসারের বাকি পাঁচজনের মুখে হাসি ফোটাতে নিজেদের বহু ইচ্ছাকে অবদমিত করে রাখেন হাসিমুখেই।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার সেই সমস্ত মহিলাদের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েই এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বারবারই বলেছিলেন, এই প্রকল্পে বাড়ির মেয়েদের একেবারে নিজেদের রোজগার। এই টাকার জন্য কারও কাছে হাত পাতার দরকার নেই। কারও কাছে তাবেদারিরও দরকার নেই। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে নিজেরা দুয়ারে সরকার শিবির থেকে ফর্ম তুলে তা পূরণ করে জমা দিলেই হবে। সমস্ত তথ্য যথাযথ থাকলে আর কোনও বাধা থাকবে না। লক্ষ্মীবারেই ১ কোটি  লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পূর্ণ হল। এও কম কথা নয়।

আরও পড়ুন: রাজ্যে রঙের কারখানা তৈরি করছে নামজাদা শিল্পগোষ্ঠী, প্রচুর কর্মসংস্থান হতে চলেছে বাংলায়