Child Harassment: তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ! প্রধান শিক্ষককে তালাবন্ধ করে রাখলেন গ্রামবাসীরা
North dinajpur: পুলিশ আটক করেছে অভিযুক্তকে।
রায়গঞ্জ: তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়ে তালাবন্ধ করে রাখার অভিযোগ। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসীরা।
রায়গঞ্জ ব্লকের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। অভিযোগ, ওই স্কুলের পড়ুয়াদের মিড ডে মিল ও ভর্তির বিষয়ে ডাকা হয়েছিল। অন্যান্য শিক্ষকরা স্কুল কক্ষের বাইরে সেই সময় কাজ করছিলেন। আর সেই সুযোগেই প্রধান শিক্ষক এক ছাত্রীকে ঘরে ডেকে নিয়ে তাকে যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ।
এদিকে ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে তার মাকে সব বলতেই বিষয়টি জানাজানি হয়। এলাকাবাসীরা একত্রিত হয়ে তৎক্ষণাত ওই প্রধান শিক্ষককে স্কুল ঘরের বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে শিক্ষককে উদ্ধার করে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন গ্রামবাসী ও শিশুর পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। যদিও, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক।
প্রসঙ্গত, আজ দক্ষিণ দিনাজপুরের আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে মহিলাকে মাটিতে ফেলে মার। মাকে মারের ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করল ছেলে। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ওই মহিলার নাম মিনু বর্মণ(৪০)। স্বামীর নাম নেপাল বর্মণ। তিনি কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। তপনের দ্বিপখন্ডা অঞ্চলের সাকইর গ্রামে ওই গৃহবধূ তাঁর নাবালক ছেলেকে নিয়েই থাকেন। পাশেই প্রতিবেশির চিন্তা ও গৌড় বর্মণের বাস। তাঁদের সঙ্গে বাড়ির জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল ওই পরিবারের। যা সোমবার সকালে বচসায় গড়ায়।
অভিযোগ, সেই সময়ে প্রতিবেশি ওই বাড়ির সদস্যরা মিলে হামলা চালায় মিনু দেবীর উপর। এদিকে, মায়ের উপরে সেই হামলার ঘটনা দেখে বারো বছরের নাবালক ছেলে পাশে দাঁড়িয়ে মোবাইলে রেকর্ড করে গোটা ঘটনা। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মাঝবয়সী দুই ব্যক্তি মিলে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে পর পর ওই মহিলার পায়ে ও কোমরে আঘাত করছে। আর সেই আঘাতের জেরে ভেঙে গিয়েছে কাঠ ও বাঁশ। তবুও থামছে না তারা।
এরপর সাতান্ন সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি নিয়ে ওই নাবালক ও তাদের আত্মীয়রা মিলে থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করে। এদিকে ওই ভিডিও ভাইরাল হতেই মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।