Higher Secondary: উচ্চ মাধ্যমিকের প্রতিটি পরীক্ষার আগের দিনই হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র, দেওয়া হচ্ছে QR কোডও! বড় কেলেঙ্কারি ফাঁস
Higher Secondary: শনিবার রাতেই রায়গঞ্জ থানার দ্বারস্থ হওয়ার পর রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানায় এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একদল পরীক্ষার্থী। তবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা জেলার জয়েন্ট কনভেনার অবশ্য বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ।
রায়গঞ্জ: প্রশ্নপত্র ফাঁস নয়! তবে সামাজিক মাধ্যমে পরীক্ষার অনেক আগেই মিলে যাচ্ছে হুবহু হাতে লেখা প্রশ্ন। যা সামাজিক মাধ্যমের দ্বারা বিক্রির জন্য টাকা চাওয়া হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের কাছে। প্রশ্নপত্র দ্রুত দিয়ে আবার ডিলিট করে টাকা নেওয়ার ফাঁদও পাতা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে QR কোড। এমনই স্ক্রিন রেকর্ড ও স্ক্রিনশট নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হল রায়গঞ্জের একদল পরীক্ষার্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পড়ুয়াদের দাবি, ‘মাস্টার মাইন্ড’ নামের একটি গ্রুপ হোয়াটসঅ্যাপে তাদের সাথে যোগাযোগ করে। ইতিমধ্যেই ‘মাস্টার মাইন্ডে’র দেওয়া বাংলা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল দেখা গেছে। আর এরপর ইংরেজি সহ অন্যান্ন পরীক্ষার ক্ষেত্রেও একইরকমভাবে যদি মিল পাওয়া যায় তাহলে পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিযোগকারীরা।
শনিবার রাতেই রায়গঞ্জ থানার দ্বারস্থ হওয়ার পর রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানায় এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একদল পরীক্ষার্থী। তবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা জেলার জয়েন্ট কনভেনার অবশ্য বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। এগুল ছড়িয়ে পর্ষদকে বদনাম করার চক্রান্ত চলছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করে পর্ষদ। মালদহের দুটি স্কুল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। অভিযুক্ত ছাত্রদের চিহ্নিতও করা হয়। সেক্ষেত্রেও উঠে আসে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথা। তদন্ত চালিয়ে ওই গ্রুপের অ্যাডমিন এক গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আবার উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা চলে বলে অভিযোগ ওঠে। ২ জনকে শনাক্ত করা হয়। তাদের পরীক্ষা বাতিলও করা হয়।