AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kumarganj: ধর্ষণ নয়, কুমারগঞ্জে নাবালিকার খুনের নেপথ্যে অন্য কারণ, জালে মেসো

Kumarganj: পুরনো বিবাদের জেরেই ওই নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। শ্বাসরোধ করে ওই নাবালিকাকে মেরে পুকুরে ফেলা দেওয়া হয়েছিল। এনিয়ে মঙ্গলবার দুপুর বালুরঘাট থানায় জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল সাংবাদিক বৈঠক করেন।

Kumarganj: ধর্ষণ নয়, কুমারগঞ্জে নাবালিকার খুনের নেপথ্যে অন্য কারণ, জালে মেসো
মৃতার মাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 18, 2025 | 12:45 PM
Share

কুমারগঞ্জ: কুমারগঞ্জে নিখোঁজ নাবালিকার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। পরিবারের তরফ থেকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছিল।   খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ মৃতার মেসোকে গ্রেফতার করেছে। পরিবারের তরফে ধর্ষণ করে খুনের কথা বলা হলেও পুলিশের দাবি শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। নাবালিকা খুনে ঘটনায় জামার রঙই খুনিকে ধরিয়ে দিয়েছে। নাবালিকার মেসোকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম বিজয় কিস্কু। বাড়ি কুমারগঞ্জ থানা এলাকাতেই। মঙ্গলবার ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন চেয়ে ধৃতকে বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হয়।

পুরনো বিবাদের জেরেই ওই নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। শ্বাসরোধ করে ওই নাবালিকাকে মেরে পুকুরে ফেলা দেওয়া হয়েছিল। এনিয়ে মঙ্গলবার দুপুর বালুরঘাট থানায় জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল সাংবাদিক বৈঠক করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ইন্দ্রজিৎ সরকার, ডিএসপি ট্রাফিক বিল্বমঙ্গল সাহা সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। সোমবার বিকালে দেহটি ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ওই নাবালিকা গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজ নাবালিকার বাড়ি কুমারগঞ্জ থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তাজপুরে। নিখোঁজের বিষয় বুঝতে পরিবারের পক্ষ থেকে গত শনিবার দিন কুমারগঞ্জ থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করা হয়। তিনদিন পর বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া ওই নাবালিকার দেহে পচন ধরেছিল যার ফলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। ওই নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হওয়ার পরিবারের তরফে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে সেই অভিযোগ ঠিক নয় বলেই পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে এখনই সবটা বলা সম্ভব নয় বলেও পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, নাবালিকার মেসোর সঙ্গে কিছুদিন আগেই তার বাবার বিবাদ হয়। এরপরই গত চার তারিখে ওই নাবালিকা স্কুল থেকে ফেরার পথে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পুকুরের জলে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। মাঠে মাঝখানে পুকুর হওয়াই অভিযুক্ত ভেবেছিল বিষয়টি কারো নজরে আসবে না। তবে গতকাল পচা দুর্গন্ধ ও দেহ ভাসতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি গোবিন্দপুর মোড় থেকে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেছিল। সেই সময় হলুদ রঙের জামা পড়েছিলেন তিনি। যা স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেছিলেন। দেহ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন কেউ তার কুকীর্তির কথা জানতে পারবে না। তবে পরে বিষয়টি নজরে আসে পুলিশের। এরপরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি,  জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি।