হাসিনার উদ্যোগে ফের সমুদ্র বক্ষে আশ্রয় ১,৭৭৮ রোহিঙ্গার

চট্টগ্রাম বোটক্লাব থেকে রওনা দেয় ৪টি জাহাজ। সেই জাহাজগুলি ভাসান চর পৌঁছেছে বেলা ১২টা নাগাদ।

হাসিনার উদ্যোগে ফের সমুদ্র বক্ষে আশ্রয় ১,৭৭৮ রোহিঙ্গার
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2021 | 5:34 PM

চট্টগ্রাম: এর আগে দুই দফায় রোহিঙ্গাদের বঙ্গোপসাগরের মাঝে ভাসান চরে আশ্রয় দিয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার ফের তৃতীয় দফায় ১,৭৭৮ জন রোহিঙ্গাকে পাঠানো হল ভাসান চরে। ২০২০ সালের ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর দুই দফায় মোট ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গা ইতিমধ্যেই বসবাস শুরু করেছেন।

কোথায় এই ভাসান চর?

বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের একটি দ্বীপ হল ভাসান চর। দু’দশক আগেও সমুদ্রের নীচে তলিয়ে ছিল এই দ্বীপটি। আসতে আসতে পলি জমে গড়ে উঠেছে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপ। ভারতীয় মুদ্রায় ৮০০ কোটিরও অধিক টাকা খরচ করে সেখানে হাসপাতাল, মসজিদ গড়ে তুলেছে বাংলাদেশ সরকার। সেখানেই ঠাঁই হচ্ছে রোহিঙ্গাদের।

কোন পথে ভাসান চরে?

গতকাল ৩৮টি বাসে ৩৫৩ পরিবারের ১,৭৭৮ জনকে চট্টগ্রামে আনা হয় সরকারের তরফে। তারপর চট্টগ্রাম বোটক্লাব থেকে রওনা দেয় ৪টি জাহাজ। সেই জাহাজগুলি ভাসান চ’ পৌঁছেছে বেলা ১২টা নাগাদ।

আরও পড়ুন: করোনার কোপ যৌন শক্তিতেও! মরে যেতে পারে শুক্রাণুর কোষ

রোহিঙ্গা তরজা:

মায়ানমার থেকে ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসার পর তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয় মায়ানমারের সঙ্গে। কিন্তু বৌদ্ধ ধর্মালম্বী অধ্যুষিত মায়ানমারে ফিরতে নারাজ রোহিঙ্গারা। অভিযোগ ওঠে সে দেশে রোহিঙ্গাদের ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর অত্যাচারের কথাও উঠে আসে। বাংলাদেশ সরকারের দাবি, স্বেচ্ছায় যেসব রোহিঙ্গা পরিবার ভাসান চরে যেতে চান, তাঁদেরই দ্বীপে পাঠানো হয়েছে। এ দিন চট্টগ্রাম বোটক্লাবেও রোহিঙ্গাদের অনেকে জানান, তাঁরা স্বেচ্ছায় ভাসান চরে যাচ্ছেন।