Spinach: পালং শাক খেয়ে অসুস্থ ২০০, আসল কারণ গাছের গোড়ায়
Bizarre: বমি, ঘোলা চোখ, দেখতে অসুবিধার পাশাপাশি অধিকাংশেরই হ্যালুসিনেশন দেখা দিয়েছিলে। সামান্য শাক খেয়ে এই অবস্থা নিয়ে হইহই কাণ্ড পড়ে যায়।
মেলবোর্ন: খেয়েছিলেন পালং শাক। সেই শাক খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়লেন প্রায় ২০০ জন। বমি, ঘোলা চোখ, দেখতে অসুবিধার পাশাপাশি অধিকাংশেরই হ্যালুসিনেশন দেখা দিয়েছিলে। সামান্য শাক খেয়ে এই অবস্থা নিয়ে হইহই কাণ্ড পড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর। আসরে নামে। যে ফার্মে তৈরি শাক খেয়ে এই অবস্থা হয়েছিল, সেখানকার শাক পরীক্ষা করা হয়। তার পরই ফাঁস হয় রহস্য। দেখা যায় যেখানে পালং শাকের চাষ হয়েছিল, অসাবধানতাবশত সেখানেই গজিয়ে উঠেছিল জিমসনওয়েড। জিমসনওয়েডের উপাদান পালং শাকের সঙ্গে মিশে গিয়েই ঘটেছিল বিপত্তি। সম্প্রতি অদ্ভূত এই ঘটনা ঘটেছিল অস্ট্রেলিয়ায়। ফুড স্ট্যান্ডার্ড অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড বের করে এই ঘটনার কারণ।
জিমসমওয়েড যা বাংলায় ধুতুরা নামে পরিচিত। সেই ধুতুরা ফলের উপাদান চাষের সময় মিশে গিয়েছিল পালং শাকে। এর জেরেই ঘটেছিল এই ঘটনা। অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী এলাকা, সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া, কুইন্সল্যান্ড এলাকাবাসীর মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, পালং শাক খেয়ে দৃষ্টি বিভ্রম, হ্যালুসিনেশন, মাথা ধরা, বমি ভাব, মুখ শুকিয়ে যাওয়া ছাড়াও অনেকের হৃদস্পন্দন মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি অনেকের মধ্যে ভুল বকার সমস্যাও দেখা দিয়েছিল। বিষয়টি সামনে আসতেই দ্রুত আসরে নামে সে দেশের স্বাস্থ্য দফতর। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়। তদন্তে দেখা যায় রিভিয়েরা নামের একটি ফার্মে তৈরি পালং শাক থেকেই ঘটেছিল ওই বিপত্তি।
বিষয়টি নিয়ে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর কোলে বলেছেন, “গাছের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই আগাছা জন্মায়। তা গাছের সঙ্গে চলে গিয়ে প্রায়শই ঘটে বিপত্তি। অস্ট্রেলিয়ার এই ঘটনার ক্ষেত্রেও হয়তো তেমনটাই ঘটেছিল।” আগাছার পাশাপাশি বাজার থেকে কিনে আনা শাক বা সব্জিতে কীটনাশকও মিশে থাকে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিপর্যয় এড়াতে প্রফেসর কোলে বলেছেন, “শাক ভাল করে গরম জলে ধুয়ে নেওয়া উচিত। এতে উপরে থাকা কীটনাশক ধুয়ে যায়। বা কোনও পোকামাকড় থাকলে তা বেরিয়ে যায়।”